—ফাইল চিত্র।
ঘটনার তিন দিন পরে, বুধবার সালকিয়ার হেলে পড়া বহুতলের অবস্থা খতিয়ে দেখে সেটি অবিলম্বে ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করলেন নির্মাণ বিশেষজ্ঞেরা। সেই সঙ্গে তাঁদের মত, আশপাশের বাড়ির যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কংক্রিট কাটার এমন যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে যার কম্পন কম। হাওড়া পুরসভার কমিশনার তথা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বিজিন কৃষ্ণ এ দিন জানান, বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, বাড়িটি এখনই ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় নেই। তা সত্ত্বেও সেটি দ্রুত ভেঙে ফেলা প্রয়োজন। তাই প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবারই ওই বাড়ির ভিতর ও বাইরে থেকে সব মালপত্র এবং ভেঙে পড়া কংক্রিটের আবর্জনা সরানোর কাজ শুরু হবে। এতে বাড়িটির ভার কমবে।
গত শনিবার রাতে সালকিয়ার ত্রিপুরা রায় লেনে নির্মীয়মাণ একটি পাঁচতলা বাড়ির একতলা মাটিতে বসে গিয়ে বিপজ্জনক ভাবে পাশের বাড়ির উপরে হেলে পড়ে। ওই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। পাশের তিনটি বাড়িতে পুরসভা নোটিস দিয়ে ১৫ দিনের জন্য তাঁদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। যদিও বাড়ি না ছেড়েই থেকে যায় তিনটি পরিবার।
ওই ঘটনার পরেই কলকাতা পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে সেখানকার প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল (বিল্ডিং) মনোজকান্তি মজুমদারকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ করেন হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে এই ধরনের বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙায় অভিজ্ঞ, এমন একটি বেসরকারি সংস্থাকেও নিয়োগ করা হয়। মনোজকান্তিবাবুর সঙ্গে ওই বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিও এ দিন বাড়িটি ঘুরে দেখেন। পরে হাওড়া পুরসভায় গিয়ে কমিশনারের সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন মনোজকান্তিবাবু।
পুর কমিশনার বলেন, “বাড়িটি ভাঙতে আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা খরচ হবে, যা বহন করবেন বাড়িটির প্রোমোটারেরা। ওই বহুতলের পাশে থাকা বাড়িগুলির যাতে ক্ষতি না হয়, তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। যাঁরা ভাঙার কাজ করবেন, তাঁদের জন্যও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।’’