বাতিস্তম্ভে ট্রাকের ধাক্কা, কারখানায় চলল ভাঙচুর

কারখানার ট্রাক বাতিস্তম্ভে ধাক্কা মেরেছে। এই খবর পৌঁছতেই তুলে কারখানায় ভাঙচুর চালাল এক দল লোক। বুধবার সকালে শ্রীরামপুরের তারাপুকুরে ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৬ ০৭:৫৪
Share:

ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র।

কারখানার ট্রাক বাতিস্তম্ভে ধাক্কা মেরেছে। এই খবর পৌঁছতেই তুলে কারখানায় ভাঙচুর চালাল এক দল লোক। বুধবার সকালে শ্রীরামপুরের তারাপুকুরে ঘটনাটি ঘটে। তৃণমূলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালানোয় মদত দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ তদন্তে আসে। তবে কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি বলে থানা সূত্রে খবর।

Advertisement

দীর্ঘদিনের পুরনো তারাপুকুরের এই কারখানায় এক সময় জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি হতো। কয়েক দশক ধরে ধুঁকতে থাকায় কারখানা হাতবদল হয়। এখন সেখানে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি কারখা‌না চলে। পুলিশ ও কারখানা সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ জনা পনেরো যুবক হইহই করতে করতে কারখানায় ঢুকে পড়ে। নিরাপত্তাকর্মীরা চেষ্টা করেও তাঁদের আটকাতে পারেন‌ন‌ি। হামলাকারীরা ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানায় হানা দেয়। সেখানে অফিসঘরে ঢুকে ভাঙচুর করা হয়। ওই কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আচমকাই ১০-১২ জন লোক কারখানায় ঢুকে পড়ে। খাতাপত্র ফেলে দেয়। মেশিন ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। হয়। পুলিশ আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খাতা তৈরির কারখানার ম্যানেজার অশোককুমার মণ্ডল জানান, গত ৯ বছর ধরে কারখানাটি চলছে। প্রায় ৪৫ জন কাজ করেন। হামলার জেরে কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। ওষুধ তৈরির কারখানার ডিরেক্টর তরুণ মলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘নিরাপত্তার অভাব বোধ হচ্ছে। এ রকম ফের হলে কারখানা বন্ধ করার কথা ভাবতে হবেল’’ যদিও ভাঙচুরের পিছনে কারা রয়েছে, সে ব্যাপারে কারখানার কর্তৃপক্ষ মুখ কুলতে চাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকদের একাংশ বলেন, ‘‘স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরাই হামলার পিছন‌ে রয়েছে।’’ তবে প্রশ্ন উঠছে, বাতিস্তম্ভে ট্রাক ধাক্কার জন্য কি কারখানায় হামলা করা হল? আশপাশের বাসিন্দাদের অনেকেই কারখানার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওষুধ কারখানার পাশেই গুটখা, ইট, প্লাস্টিকের জিনিস তৈরি হয়। তা ছাড়া, কারখানার ভারী ভারী ট্রাক বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। ছোট রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাঝেমধ্যেই বাতিস্তম্ভে ট্রাক ধাক্কা মারে। ভারী গাড়ির জন্য রাস্তা, কালভার্ট নষ্ট হয়।

তৃণমূল নেতা পিন্টু নাগ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে ৪টি বাতিস্তম্ভে ওদের গাড়ি ধাক্কা মেরেছে। কিন্তু তার জন্য ওরা কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। সকাল‌ে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ জানাতে গেলে ওরা গুরুত্ব দেয়নি। তা নিয়েই বচসা এবং এই ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তৃণমূলের কোনও ব্যাপার নেই।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন