coronavirus

ভিন্‌ রাজ্যে মৃত যুবকের দেহ সৎকারে টালবাহানা

শেষে হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার হস্তক্ষেপে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিপাল শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:১৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ভিন্‌ রাজ্যে মৃত যুবকের দেহ সৎকার করতে গিয়ে রীতিমতো কাঠখড় পোড়াতে হল তাঁর পরিবারের লোকজনকে। হরিপালের ওই পরিবারের লোকজনের দাবি, দুর্ঘটনায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অথচ করোনায় মারা গিয়েছেন সন্দেহে শ্রীরামপুর এবং বৈদ্যবাটীর একাধিক শ্মশানে তাঁর দেহ সৎকার করা হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। শেষে হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার
হস্তক্ষেপে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বপন সাঁতরা(৩৫) নামে ওই যুবক আমদাবাদে সোনারুপোর কাজ করতেন। তাঁর এক আত্মীয়ের দাবি, গত রবিবার সেখানে পায়রাকে খাওয়াতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে তিনি মারা যান। দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার কফিনে দেহ হরিপালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের অভিযোগ, দেহ সৎকারের জন্য প্রথমে শ্রীরামপুরের শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নানা টালবাহানায় সেখানে সৎকার করা হয়নি। বৈদ্যবাটীর শ্মশানেও তাঁদের একই অভিজ্ঞতা হয়।
এই পরিস্থিতিতে দেহ ম্যাটাডরে চাপিয়ে রাতভর তাঁরা ঘুরে বেড়ান। উপায়ান্তর না দেখে ভোরে দেহ গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যান। বিধায়ক বেচারামবাবুকে বিষয়টি জানানো হয়। তাঁর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ভদ্রেশ্বরের শ্মশানে দেহটি সৎকার করা হয়।
যুবকের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেল।
ডেথ সার্টিফিকেটেও দুর্ঘটনার কথাই লেখা আছে। অথচ শুধুমাত্র ভিন্‌ রাজ্য থেকে ফেরায় করোনা সন্দেহে একাধিক শ্মশান সৎকার না করে ফিরিয়ে দিল। ভাগ্যিস বিধায়ক হস্তক্ষেপ করলেন!’’
কয়েক মাস আগে একই পরিস্থিতির শিকার হয় চণ্ডীতলার আঁইয়ার একটি পরিবার।
ওই পরিবারের বধূ স্বামীর সঙ্গে মুম্বইতে থাকতেন। পরিবারের দাবি, এপ্রিল মাসে এক দিন হঠাৎ ওই বধূ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। খিঁচুনি আসে। ঘাড়, হাত বেঁকে যায়।
মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
তাঁরা জানান, হার্ট অ্যাটাকে মিঠু মারা গিয়েছে। সেই মর্মে ডেথ-সার্টিফিকেটও দেন। এর পরে দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে হুগলিতে আনা হয়। কিন্তু শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটীর একাধিক শ্মশানে করোনা সন্দেহে দেহ সৎকার করা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষে দেহ নিয়ে তাঁরা মুম্বইতে ফিরে যান। সেখানে অবশ্য সহজেই দেহ সৎকার করা গিয়েছিল।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন