বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মৃত্যু বাবা-ছেলের

মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। কোথাও কোথাও ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছিল সকাল থেকেই। বেলা একটু গড়াতে বৃষ্টি বাড়ে। গঙ্গাপাড়ের জেলা বালি থেকে বাঁশবেড়িয়া সর্বত্রই কমবেশি বৃষ্টি পড়ে সারাদিন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৭
Share:

এই তারেই ঘটে দুর্ঘটনা। ছবি: দীপঙ্কর দে

মঙ্গলবার দুপুর থেকে ফের টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে হুগলি এবং হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে সিঙ্গুরে মৃত্যু হয়েছে বাবা-ছেলের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় একটি সুপুরি গাছ ভেঙে বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে পড়ে রাস্তায়। সেই তারেই প্রথমে আটকে যান গোপাল প্রামাণিক (৭৫)। আর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তড়িদাহত হন ছেলে গণেশ প্রামাণিকও (৫৫)। স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার বিদ্যুৎ দফতরে খবর দেওয়ার পরও সেটি না সরানোতেই ওই দুঘর্টনা ঘটে। এর প্রতিবাদে ওই পরিবারের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর রোডে শুরু হয় অবরোধ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। এ দিন পান্ডুয়ার শশীভূষণ সাহা স্কুলে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যায় পড়েন পরীক্ষার্থীরা। মিনিট কুড়ি পর অবশ্য বিদ্যুৎ এসে যায়।

Advertisement

মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। কোথাও কোথাও ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছিল সকাল থেকেই। বেলা একটু গড়াতে বৃষ্টি বাড়ে। গঙ্গাপাড়ের জেলা বালি থেকে বাঁশবেড়িয়া সর্বত্রই কমবেশি বৃষ্টি পড়ে সারাদিন। কাজের দিনে পথে বের হয়ে নাকাল হন সাধারণ মানুষ।

শীতের এই বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। বিশেষত আলু ও আম চাষে। আমের মুকুল ঝরে গিয়েছে পোলবা ও বলাগড় ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায়। আলুচাষিদের অনেকেরই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। চাষিদের একাংশ বলছেন, বিভিন্ন জায়গায় মূলত পোখরাজ আলু তোলার কাজ চলছে। চন্দ্রমুখী বা জ্যোতি আলু এখনও তোলা হয়নি। কেলেপাড়ার প্রশান্ত ধোলে ২০ বিঘা জমিতে জ্যোতি আলু ফলিয়েছেন। তিনি বলেন,‘‘চার-পাঁচ দিন পরে আলু তুলব বলে ঠিক করেছিলাম। বৃষ্টিতে মুশকিলে পড়ে গে‌লাম। বৃষ্টি হওয়ায় আলু পচে যেতে পারে।’’

Advertisement

আলুর পাশাপাশি শীতের আনাজ চাষেরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। বর্তমানে হুগলিতে পোলবা এবং লাগোয়া বলাগড় ব্লকে আম চাষ হয়। সেই আম পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য ঝাড়খন্ড এবং বিহারে রফতানি করা হয় এখন। ঝড়বৃষ্টিতে আমের মত অর্থকরী ফসলেও ক্ষতির আশঙ্কা। গুপ্তিপাড়ার এক আম চাষি বলেন,‘‘আমের প্রচুর মুকুল ধরেছিল। এই বৃষ্টির পরে যেই রোদ উঠবে, মুকুল কালো হয়ে গাছ থেকে ঝরে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন