নদীপথে মুখ্যমন্ত্রী, বন্ধ নৌকা চলাচল

হাওড়া থেকে গাদিয়াড়া পর্যন্ত সব ধরণের নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফাঁকা গঙ্গাবক্ষে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দু’টি দ্রুতগতি সম্পন্ন লঞ্চের কনভয় বেলা দেড়টা নাগাদ উলুবেড়িয়া পার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:০৬
Share:

নজরদারি: উলুবেড়িয়া লঞ্চ ঘাটে। ছবি: সুব্রত জানা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার নদীপথে গঙ্গাসাগরে যান। সেই কারণে এ দিন দুপুর থেকেই হাওড়ায় গঙ্গাবক্ষে নৌকা, লঞ্চ ও জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত হাওড়ার বিভিন্ন ঘাট থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ঘাটের মধ্যে চলাচলকারী সব লঞ্চ এবং যন্ত্রচালিত নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

হাওড়া থেকে গাদিয়াড়া পর্যন্ত সব ধরণের নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফাঁকা গঙ্গাবক্ষে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দু’টি দ্রুতগতি সম্পন্ন লঞ্চের কনভয় বেলা দেড়টা নাগাদ উলুবেড়িয়া পার করে। দুটো নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী হাওড়ার জলসীমা ছেড়ে বেরিয়ে যান। তারপরে ফের লঞ্চ এবং নৌকা চলাচল শুরু হয়। উলুবেড়িয়া খেয়াঘাটে এ দিন যন্ত্রচালিত নৌকার মাঝিদের লাইফ জ্যাকেট পরানো হয়। নৌকা চলাচল বন্ধ থাকার কথা বার বার মাইকে বলা হয়।

হাওড়া গ্রামীণ এলাকার মধ্যে বাউড়িয়া, চেঙ্গাইল, উলুবেড়িয়া, কাঁটাখালি, হিরাপুর, হিরাগঞ্জ, শিবগঞ্জ, গড়চুমুক, গাদিয়াড়া প্রভৃতি ঘাট রয়েছে। এইসব ঘাট থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ, আছিপুর, বিড়লাপুর, রায়পুর, বুড়ুল, নইনান, নূরপুর প্রভৃতি এলাকায় লঞ্চ এবং যন্ত্রচালিত নৌকা যাতায়াত করে। এ দিন সেই সব দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন বহু মানুষ। চটকলের দুপুরের শিফটে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের অনেকেই কাজে যেতে পারেননি। হিরাগঞ্জের বাসিন্দা রাজু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ঘাটে এসে শুনি নৌকা বন্ধ। বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হই।’’ শুধু তাই নয়, বিড়লাপুর চটকল থেকে সকালের শিফটের যে শ্রমিকেরা হিরাগঞ্জ, হিরাপুরে দুপুরে খাওয়ার জন্য বাড়ি আসেন তাঁরাও আর কাজে ফিরতে পারেননি। নৌকো করে যাঁরা মাছ ধরতে যান কিংবা বালি-সহ অন্যান্য পণ্য পরিবহণ করেন তাঁরাও বেরোতে পারেননি।

Advertisement

হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, সোমবার রাতে তাঁদের জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী নদীপথে সাগরে যাবেন। তাঁর নিরাপত্তার জন্যই মঙ্গলবার লঞ্চ এবং নৌকো চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ কর দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন