জলের অভাব, আগুন নেভাতে হিমশিম খেল দমকল বাহিনী

জলের অভাবে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেল দমকল বাহিনী। সোমবার বিকেলে ভদ্রেশ্বরে দিল্লি রোড লাগোয়া গর্জি মোড়ের কাছে বেসরকারি একটি রাসায়নিক কারখানার গুদামে আগুন লাগে। ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের আটটি ইঞ্জিন আসে। কেউ হতাহত না হলেও কারখানার প্রচুর ক্ষতি হয়। দমকলের ট্যাঙ্কের জল শেষ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন দমকলকর্মীরা। কেননা, ওই কারখানার আশপাশে কোনও জলাশয় নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভদ্রেশ্বর শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৫ ০১:২৬
Share:

তখনও জ্বলছে ভদ্রেশ্বরের রাসায়নিক কারখানা। — নিজস্ব চিত্র।

জলের অভাবে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেল দমকল বাহিনী।

Advertisement

সোমবার বিকেলে ভদ্রেশ্বরে দিল্লি রোড লাগোয়া গর্জি মোড়ের কাছে বেসরকারি একটি রাসায়নিক কারখানার গুদামে আগুন লাগে। ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের আটটি ইঞ্জিন আসে। কেউ হতাহত না হলেও কারখানার প্রচুর ক্ষতি হয়। দমকলের ট্যাঙ্কের জল শেষ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন দমকলকর্মীরা। কেননা, ওই কারখানার আশপাশে কোনও জলাশয় নেই। দমকলকেন্দ্রে ফিরে গিয়ে জল ভরে নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। দমকলের আধিকারিকদের অভিযোগ, রাসায়নিক কারখানাটিতে দাহ্য পদার্থ ব্যবহৃত হয়। অথচ আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থাই সেখানে ছিল না। কী ভাবে আগুন লাগল, তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি দমকলের আধিকারিকরা।

পুলিশ ও কারখানা সূত্রের খবর, কারখানাটিতে শ’দুয়েক শ্রমিক কাজ করেন। এ দিন বেশ কিছু শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। বিকেল ৫টা নাগাদ গুদামে আগুন টের পেতেই তাঁরা বাইরে বেরিয়ে পড়েন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটির পর একটি রাসায়নিক ভর্তি ব্যারেল ফাটতে থাকে। খবর পেয়ে কারখানার মালিক নির্ভীক জুনেজা কলকাতা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি বলেন, ‘‘কতটা ক্ষতি হয়ে গেল, বুঝতে পারছি না। আগুন নিভলে হিসেব করে দেখব।’’ অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকা প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি তিনি। রাত পর্যন্ত আগুন নেভেনি। চন্দননগর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আগুন যে লোকালয়ে ছড়ায়নি, সেটাই রক্ষা। পুরসভার তরফে তদন্ত করে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন