ভরাট করা পুকুর খনন করবে মৎস্য দফতর

বৈদ্যবাটিতে একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ নিয়ে দিনের পর দিন ধরে চলছে টালবাহানা। মৎস্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৈদ্যবাটির এনসি ব্যানার্জি রোডের ওই পুকুরটি আগে স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যবহার করতেন।

Advertisement

প্রকাশ পাল

বৈদ্যবাটি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৪৩
Share:

পুনরুদ্ধার: ভরাট করা হয়েছে এই পুকুরই। নিজস্ব চিত্র

ভরাটকারীরা নির্দেশ মানেননি। তাই ভরাট হয়ে যাওয়া পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে টাকা চাইল হুগলি জেলা মৎস্য দফতর।

Advertisement

বৈদ্যবাটিতে একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ নিয়ে দিনের পর দিন ধরে চলছে টালবাহানা। মৎস্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৈদ্যবাটির এনসি ব্যানার্জি রোডের ওই পুকুরটি আগে স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যবহার করতেন। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার সহায়ক ছিল সেটি। অভিযোগ, এলাকাবাসীর আপত্তি সত্ত্বেও ২০০১ সাল থেকে পুকুরটি বোজানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক কর্তা জানান, সরকারি নথিতে ওই জলাশয়টি ‘পুকুর’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। কিন্ত ভরাটকারীরা পরে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি নথিতে সেটির চরিত্রও বদলে দিয়েছিল।

বিষয়টি নিয়ে একজন স্থানীয় বাসিন্দা কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন। বছর সাতেক আগে হাইকোর্ট মৎস্য দফতরকে নির্দেশ দেয়, অভিযোগের সত্যতা থাকলে বিশেষ ধারা প্রয়োগ করে পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। অভিযোগের সত্যতা জানতে মৎস্য দফতর শুনানি ডাকে। অভিযুক্তেরা মৎস্য দফতরে নতুন করে দাবি করেন, তাঁরা যখন ওই জমি কিনেন, তখন সেটি পুকুর ছিল না।সেখানেও প্রমাণিত হয়, ওই জায়গায় আগে পুকুর ছিল। তারপর মৎস্য দফতর থেকেও সেটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কয়েক মাস আগে স্থানীয় পুরসভাকেও বিষয়টি দেখতে বলা হয়। কিন্ত পুরসভা তখন জানিয়ে দেয়, তাদের টাকা নেই।

Advertisement

এর মধ্যে পুকুর ভরাটে অভিযুক্তেরাও হাইকোর্টে যায়। তবে হাইকোর্ট আগের নির্দেশই বহাল রাখে। তারপর জে‌লা মৎস্য দফতরে ফের শুনানি হয়। সেই শুনানিতেও ওই জায়গায় আগে পুকুর ছিল বলেই ফের প্রমাণিত হয়। তার পর পুকুরটিকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি।

হুগলি মৎস্য দফতরের এক কর্তা জানান, পুকুরটি যারা ভরাট করেছিলেন তারা নির্দেশ না মানায় মৎস্য দফতরের টাকাতেই ওই পুকুরকে আগের জায়গায় ফেরানো হবে। তার জন্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে। হুগলির সহকারী মৎস্য অধিকর্তা পার্থসারথি কুণ্ডু বলেন, ‘‘রাজ্য মৎস্য দফতর থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে। আশা করছি দুর্গাপুজোর পরেই কাজ শুরু হবে। যারা ওই পুকুর ভরাট করেছিল তাদের থেকেই সেই টাকা আদায়
করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন