অনিলবাবুর পরিজনরা। নিজস্ব চিত্র
গঙ্গা ভাঙনে ঘাট ধসে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বলাগড়ের চাঁদড়া এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অনিল হালদার (৫৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনিলবাবু মৎস্যজীবী। এ দিন সকালে অবশ্য তিনি স্নান করতেই নেমেছিলেন। সে সময় ঘাটে তেমন কেউ ছিলেন না। বিকেল ৩টে পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু হয়।
ওই গ্রামে সকলেই মৎস্যজীবী। ফলে সকলেই নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। দেখা যায় একটি ঘাট ভেঙে গিয়েছে জলের ধাক্কায়। ফলে সন্দেহ বা়ড়ে। খবর যায় পুলিশের কাছেও। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর প্রৌঢ়ের দেহ ভাসতে দেখা যায় নদীতে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
গঙ্গার পাড়েই অনিলবাবুর বাড়ি। আরও কয়েক ঘর মৎস্যজীবী বাস করেন ওখানেই। অনিলবাবুর স্ত্রী সরস্বতীদেবী বলেন, ‘‘২০ বছর ধরে এই নদী তীরেই বাস। গঙ্গা ক্রমশ পাড় ভেঙে এগিয়ে আসছে। ভয় আমরা পেতাম। কিন্তু এমন হবে ভাবিনি।’’
এক মৎস্যজীবীর এমন মৃত্যুতে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারাও। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলছেন, ‘‘নদীতেই আমাদের সংসার। একজন মৎস্যজীবী এ ভাবে তলিয়ে যেতে পারেন! ভাবতেই খারাপ লাগছে।’’
যদিও এলাকার বিডিও সুমিত সরকারের দাবি, ‘‘তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলেই আমরা জানি। পাড় ভেঙে মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগ হয়নি।’’