জলবন্দি: ডুবে রয়েছে আরামবাগের মনসাতলা। ছবি: মোহন দাস।
ডিভিসির ছাড়া জলে জলমগ্ন আরামবাগের বিভিন্ন এলাকা। চরম বিপদসীমা দিয়ে বইছে দ্বারকেশ্বর নদীর জল। প্রাথমিক বিপদসীমা ছুঁয়েছে দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরী। বাঁধ ভেঙে নতুন করে জলমগ্ন হয়েছে হুগলির কয়েকটি এলাকা।
সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে খানাকুল ২ ব্লকের ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েতের ঘোড়াদহের দলবেড়া এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে জলবন্দি হয়েছে ঘোড়াদহ, কাকনান, ধান্যগোড়ি, রামচন্দ্রপুর-সহ কয়েকটি এলাকা। ২০১৫ সালেও ওই একই জায়গায় বাঁধ ভেঙেছিল। ঘোড়াদহ এলাকায় ৪৫টি পরিবারকে উঁচু জায়গায় রাখা হয়েছে। রাস্তায় জল উঠে আরামবাগ-বদনগঞ্জ রুটে বাস চলাচল বন্ধ। একই কারণে আরামবাগ থেকে খানাকুলের গড়েরঘাট যোগাযোগও প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সালেপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার ডহরকুণ্ডু গ্রামের ভৌমিক পাড়া, মাজি পাড়া এবং বেরা পাড়ার ১০৭টি পরিবারকেও উঁচু জায়গায় সরানো হয়েছে।
আরামবাগ মহকুমা সেচ দফতরের সহকারি বাস্তুকার প্রিয়ম পাল জানান, দ্বারকেশ্বরের শেখপুর সার্কিটে চরম বিপদসীমার মাপ ১২.৩৪ মিটার। মঙ্গলবার সেখানে ১২.৮৫ মিটার উচ্চতায় জল বয়েছে। দ্বারকেশ্বর সংলগ্ন খানাকুলের দু’টি ব্লক এবং আরামবাগ মহকুমার কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকায় বাসিন্দাদের সতর্ক করে মাইক প্রচার চলছে। এ দিন আরামবাগের মহকুমাশাসক প্রীতি গোয়েল দ্বারকেশ্বর নদীর কিছু দুর্বল বাঁধ ঘুরে দেখেন। মহকুমা সেচ দফতরের কর্তাদের দাবি, দুর্বল বাঁধগুলিতে মাটি ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলিকে বলা হলেও তারা সেটি করতে পারেনি। বর্ষার পরেই দুর্বল বাঁধগুলি মজবুত করার কাজ শুরু হবে।
টানা বৃষ্টিতে এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে বৈদ্যবাটি, তারকেশ্বর, ডানকুনি, পান্ডুয়া-সহ হুগলির বিভিন্ন এলাকা। সোমবার পান্ডুয়ায় সরাই কলোনির ছাতারপুরে একটি কংক্রিটের রাস্তা ভেঙে গিয়েছিল। ওই রাস্তাটি বাঁশ, বালি দিয়ে সারানো হয়েছে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টি থামলে ওই রাস্তাটি পাকাপাকিভাবে সারানো হবে। সোমবার গোঘাটের ইন্দিরা গ্রাম সংলগ্ন তলিয়ে যাওয়ার যুবকের দেহের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে মঙ্গলবার রাত অবশ্য দেহ মেলেনি।