হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইলিয়াস।—নিজস্ব চিত্র।
শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এটিএমে টাকা তুলবেন বলে। টাকা তুলে ফেরার পথে ছিনতকাইকারীদের ছুরিতে জখম হলেন এক যুবক। দুষ্কৃতীরা তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। যুবকের স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামীর এক বন্ধুই এই ঘটনার পিছনে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার খানাকুলের মাড়োখানা অঞ্চলের হানুয়া লাগোয়া গাবতলায়।
স্থানীয় কায়বা গ্রামের শেখ ইলিয়াস নামে বছর ছাব্বিশের আহত ওই যুবককে প্রথমে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কায়বা গ্রামের শেখ ইলিয়াস এবং হিরাপুর গ্রামের মির মরশেদুল নাগপুরে একটি জরির কারখানা কাজ করতেন। সম্প্রতি ইলিয়াস নিজে একটি ছোট জরি কারখানা করেন সেখানে। গত মঙ্গলবার দু’জনেই বাড়ি ফেরেন। ইলিয়াস মাড়োখানার ঢলডাঙায় শ্বশুরবাড়িতে ওঠেন। শনিবার বিকালে ইলিয়াস রাজহাটি গ্রামে এটিএম থেকে ১০ হাজার টাকা তুলে ট্রেকারে ফের শ্বশুড়বাড়িতে আসছিলেন। রাজহাটি বাজারে মির মরশেদুলের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। ইলিয়াসের অভিযোগ, “হানুয়ায় কাজ আছে জানিয়ে মরশেদুলও আমার সঙ্গে ট্রেকারে ওঠে। হানুয়ায় চা খাওয়ার জন্য মরশেদুল দাঁড়ায়। আমাকেও চা খেতে নামতে বলে। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। সেখানে চা খেয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরছিলাম। মরশেদুলও আমার সঙ্গে হাঁটছিল। গাবতলার কাছে আচমকা রাস্তা থেকে চেলা কাঠ তুলে সজোরে আমার মাথায় মারে। টাকাও ছিনিয়ে নেয়। আমি মাটিতে পড়ে গেলে ছুরি বের করে গলায় চালিয়ে দেয়। বাধা দিতে গিয়ে দুই হাতই ছুরির আঘাতে জখম হয়।’’
ইলিয়াসের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে মরশেদুল পালিয়ে য়ায়। ইলিয়াসের দাবি, “নাগপুরে আমার জরি কারখানাটা হাতানোর জন্যই আমাকে খুন করার চক্রান্ত করেছে মরশেদুল।’’ ইলিয়াসের স্ত্রী ফতেমা মির মরশেদুল ওরফে রাজেশের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন।