কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে দর্শনার্থীদের ভিড়। শুক্রবার, দক্ষিণেশ্বরে ছবিটি তুলেছেন সজল চট্টোপাধ্যায়।
এত দিন তাঁরা বলে আসছিলেন, স্কাইওয়াক তৈরির জন্য অস্থায়ী জায়গায় পুনর্বাসন নেবেন না। অন্তত কল্পতরু উৎসবের আগে পর্যন্ত। তাঁরাই শুক্রবার দাবি করলেন, নতুন জায়গায় বিক্রি ভালই হচ্ছে। বললেন, ‘‘উন্নয়নে বাধা দেওয়া ঠিক হয়নি।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন দোকানদার তাঁদের অস্থায়ী দোকানের চাবি নিয়েছেন। এ দিন খোলা ছিল প্রায় ৭০টি দোকান।
স্কাইওয়াকের জন্য দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সামনে রানি রাসমণি রোডের দোকানদারদের অস্থায়ী জায়গায় সরতে বলেছিল রাজ্য। তাঁরা রাজি হননি। উল্টে দাবি ছিল, কল্পতরু উৎসবের আগে অস্থায়ী জায়গায় গেলে ব্যবসা মার খাবে। তত দিন পুরনো জায়গায় দোকান রাখতে আদালতে আবেদনও করেন তাঁরা। কিন্তু আবেদন মঞ্জুর না হওয়ায় প্রশাসন নির্দিষ্ট সময়ে দোকান ভেঙে দেয়।
এ দিন মন্দিরের পিছনের রাস্তায় গিয়ে দেখা গেল, ফুল, প্রসাদ, বাসন থেকে শুরু করে অনেক অস্থায়ী দোকানই খোলা। এক দোকানদার বাপি দাস বলেন, ‘‘দু’দিন হল দোকান খুলেছি। ব্যবসা ভালই চলছে।’’ কিন্তু তাঁরাই তো বাধা দিয়েছিলেন স্কাইওয়াক তৈরিতে? আর এক দোকানদার চন্দন দত্তের কথায়, ‘‘উন্নয়নের কাজই তো হচ্ছে। আমাদের দোকান চললেই হল।’’
দোকানদারদের আশঙ্কা ছিল, কল্পতরু উৎসবে আসা কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু এ দিন সব পরিস্থিতি সামলাতে সজাগ ছিল পুলিশ। তবে যানজট সমস্যায় জেরবার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। দক্ষিণেশ্বর থেকে গাড়ির লাইন এক সময়ে বালি হল্ট ছাড়িয়ে যায়।
পুজো দিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সামনে ভিড় জমান বহু মানুষ। শুক্রবার ভোর থেকে তার লাইন বালি ব্রিজ পেরিয়ে চলে যায় উত্তরপাড়া। এ দিন মন্দিরের তিনটি গেট খুলে দেওয়া হয়। স্কাইওয়াকের কাজ বন্ধ রেখে রানি রাসমণি রোডের দু’ধারে ব্যারিকেড করে সেখান দিয়েই দর্শনার্থীদের যাতায়াত করতে দেওয়া হয়। কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে এ দিন দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরে বিশেষ পূজা হয়। কাশীপুর উদ্যানবাটী, বেলুড় মঠেও প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়।