হুগলিতে শুরু হচ্ছে বাজার-অভিযান

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২০ ০৭:২০
Share:

প্রতীকী ছবি

আলুর দাম বেলাগাম। আনাজও হাত পোড়াচ্ছে গৃহস্থের। এই পরিস্থিতিতে আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজারে হানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল হুগলি জেলা প্রশাসন।

Advertisement

জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও সোমবার বলেন, ‘‘হিমঘর থেকে কত আলু বেরিয়েছে, কত মজুত রয়েছে সব বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। কালোবাজারি হচ্ছে কিনা, তাও দেখা হবে। আনাজের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সাধারণ মানুষ যাতে অসুবিধায় না পড়েন, প্রশাসন তা দেখবে।’’

গোটা রাজ্যেই আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। রবিবার হুগলিতে চন্দ্রমুখী আলু বিকিয়েছে ৩৫ টাকা কেজিতে। জ্যোতি আলু ৩০ টাকা। আনাজের দামও অত্যাধিক ছিল। বিভিন্ন বাজারে কাঁচালঙ্কা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। পটল, ঝিঙে, বেগুন, ঢেঁড়শ— সব কিছুর দামই ছিল বেশি। অস্বাভাবিক দামের কথা কানে পৌঁছতে নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

সোমবার প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন বাজারে আলু, আনাজের দাম নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। কৃষি বিপণন দফতর এবং নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সরেজমিনে বিভিন্ন পাইকারি বাজারের পরিস্থিতি দেখা হবে। প্রশাসনের তরফে ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজারে বাজারে হানা দেবেন। হিমঘর-মালিকদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। আনাজের ক্ষেত্রেও চাহিদার সঙ্গে জোগানের সামঞ্জস্যের সমস্যা আছে কিনা, তা দেখা হবে। প্রয়োজনে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরাও বাজারে যাবেন।

প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, আরামবাগ, চাঁপাডাঙা, শেওড়াফুলি, চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল-সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে এ দিন আলু এবং কাঁচালঙ্কা-সহ আনাজের দাম রবিবারের তুলনায় বেশ কিছুটা কম ছিল। জ্যোতি আলু কোথাও সরকার নির্ধারিত ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কোথাও ২৭ বা ২৮ টাকায়। শেওড়াফুলিতে চন্দ্রমুখী আলু ৩০ টাকায় বিকিয়েছে। কাঁচালঙ্কার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় ঘোরাফেরা করেছে।

ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, আমপানে আনাজের ক্ষতি হওয়ায় এমনিতেই দাম কিছুটা বেশি। তার উপরে শনিবার লকডাউনে গাড়ি আসতে না-পারায় আনাজের জোগান অনেক কম ছিল। তারই প্রভাব পড়ে দামে। এ দিন গাড়ি আসায় দাম কমেছে। তবে রবিবার যাঁদের আনাজ অবিক্রিত ছিল, লোকসান এড়াতে কিছুটা বেশি দামেই এ দিনও তাঁদের ওই আনাজ বেচতে হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, দাম কিছুটা কমলেও স্বাভাবিক হয়নি বলে অভিযোগ আসছে। দাম স্বাভাবিকে নামিয়ে আনারই চেষ্টা করা হবে। এর আগেও একই প্রক্রিয়ায় দাম নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন