শহরের প্রতিটি বাড়িতে সম্পত্তিকরের বিল পৌঁছে দিতে শুধু ক্যুরিয়ার বাবদই খরচ হয় কয়েক লক্ষ টাকা। এর সঙ্গে বিল ছাপানোর খরচ তো আছেই। অন্য দিকে, গোটা শহর জুড়ে সম্পত্তিকর বাবদ বকেয়া কয়েক কোটি টাকা। আয় এবং ব্যয়ের এই বিপুল ঘাটতি মেটাতে বকেয়া কর আদায়ের পাশাপাশি করের বিলে বিজ্ঞাপন ছেপেও আয় করতে চলেছে হাওড়া পুরসভা।
সূত্রের খবর, এ বার থেকে হাওড়া পুরসভার সম্পত্তিকরের বিলের নীচের অংশে স্থানীয় একটি সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখা যাবে। বৃহস্পতিবার হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তীর হাতে সম্পত্তিকরের তেমনই একটি বিল তুলে দেন মেয়র পারিষদ (রাজস্ব) অরুণ রায়চৌধুরী। রথীনবাবু বলেন, ‘‘সম্পত্তিকরের বিলে বিজ্ঞাপন ছাপলে পুরসভার আয়ও বাড়বে। পাশাপাশি খরচও সাশ্রয় হবে।’’
কেন এই পরিকল্পনা? অরুণবাবু জানান, হাওড়া শহরে বাড়ির সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। প্রত্যেক বাড়িতে বিল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ক্যুরিয়ার সংস্থাকে বিল প্রতি ১০ টাকা করে দিতে হয়। তাতেই বেরিয়ে যায় কয়েক লক্ষ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে বিল ছাপানোর খরচ। এই সমস্ত খরচের কিছুটা অংশ যাতে বাইরে থেকে তোলা যায়, তার জন্যই বিলে বিজ্ঞাপন ছাপার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে দরপত্র ডেকে হাওড়ার একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়। ঠিক হয়, বছরে এক বার বিজ্ঞাপন ছাপার জন্য পুরসভাকে ১০ লক্ষ টাকা দেবে ওই সংস্থা। অরুণবাবুর দাবি, ‘‘এই ১০ লক্ষ টাকায় ক্যুরিয়ারের খরচের অর্ধেকও তো উঠে আসছে। আগামী বছর ফের দরপত্র ডাকা হবে।’’
পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে সংযোজিত বালি এলাকার সম্পত্তিকরের বিলেও এমন বিজ্ঞাপন ছাপার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি শুধু বিলের সামনে নীচের দিকেই নয়, পিছনের দিকেও যাতে বিজ্ঞাপন ছাপা যায়, সেই ভাবনাও রয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের আশা, এর ফলে সম্পত্তিকরের বিল সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক খরচের বোঝা অনেকটাই কমানো যাবে।