প্রস্তাবিত পরিকল্পনা। সৌজন্যে: হাওড়া পুরসভা
হাওড়ার সৌন্দর্যায়নে আরও এক সংযোজন। ডুমুরজলা মাঠ সংলগ্ন দু’ একর জায়গা জুড়ে থাকা দালালপুকুরকে ঘিরে গড়ে উঠছে ইকো পার্কের ছোট সংস্করণ। পাশাপাশি ডুমুরজলা মাঠে দ্রুত পৌঁছতে নতুন রাস্তা তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে।
জলাশয় ও সবুজ রক্ষায় এ বার মধ্য হাওড়ার বড় জলাশয় দালালপুকুরকে ঘিরে বিনোদন পার্ক গড়তে চাইছেন হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষ। এ জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে পরিকল্পনাও করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, বিশাল আয়তনের পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা ফেলার জায়গা হয়ে গিয়েছে। এক দিকে কচুরিপানা এবং অন্য দিকে আবর্জনা ভরে ক্রমেই নাব্যতা হারাচ্ছে ওই পুকুর। এর উত্তর-পশ্চিমে নেতাজি সুভাষ বসু রোডের ধার দোকানদারের দখলে চলে যাওয়ায় রাস্তা সরু হয়ে যান চলাচলে সমস্যা বাড়িয়েছে।
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, ডুমুরজলা ময়দানের উত্তর অর্থাৎ নেতাজি সুভাষ বসু রোড ধরে যেতে হলে বর্তমানে ড্রেনেজ ক্যানাল রোড দিয়ে অনেকটা ঘুরে যেতে হয়। সমীক্ষা করে পুর ইঞ্জিনিয়াররা জানান, নেতাজি সুভাষ বসু রোড থেকে দালালপুকুরের পাশ দিয়ে একটি রাস্তা বার করা যায়, যেটি ধরে কয়েক মিনিটে ডুমুরজলা মাঠে পৌঁছনো যাবে। সেখান থেকে ড্রেনেজ ক্যানাল রোড ধরে সহজেই কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে যাওয়া যাবে। তাতে যানজট কমবে নেতাজি সুভাষ বসু রোডে।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুকুরের উত্তর-দক্ষিণের দখলদার উচ্ছেদ হবে। চারদিকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে, তৈরি হবে আলোর ঝরনা, হাঁটার রাস্তা। শিশুদের খেলার ব্যবস্থা, বোটিং-এর সুবিধাও করা হবে। পুকুরের পূর্বে তৈরি হবে ভাসমান জেটি, টি-কর্নার। পুকুর ঘিরে হবে রংবেরঙের আলোর খেলা।
পুকুরের দক্ষিণে একটি দোতলা ভবন হবে। যার একতলায় উচ্ছেদ হওয়া দোকানদারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দিতে দোতলায় হবে একটি ব্যাঙ্কোয়েট। কর্তৃপক্ষের দাবি, হল ভাড়ার টাকায় পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ হবে।