প্রতীকী ছবি।
ঠিক পনেরো দিন আগেই জমা জলের প্রতিবাদে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন জগাছা এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার একই ঘটনার প্রতিবাদ করে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করায় এ বার পুলিশের লাঠিপেটা খেতে হল ওই বাসিন্দাদের। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সোমবারের বৃষ্টির পরে ফের এলাকা ভাসছে। অথচ জল সরানো নিয়ে ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সাঁতরাগাছি স্টেশনের কাছে রাস্তা অবরোধ করেন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় সাতশো বাসিন্দা। এর জেরে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের দু’ পাশের রাস্তা বন্ধ হয়ে যানজট ছড়ায় জাতীয় সড়কে। কিছু ক্ষণ পরে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলতে গেলে হাতাহাতি বাধে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ লাঠি চালায়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তিন মাস ধরে গোটা এলাকায় জল জমে। বৃষ্টি হলে জল ঢুক়ছে বাড়ির ভিতরে, জগাছা থানায়। ভাসছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ককে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেন না। স্থানীয় কাউন্সিলর বছর দুই আগে মারা গেলেও পুনর্নির্বাচনের ব্যবস্থা করেননি কর্তারা। জটুবাবু বলেন, ‘‘ওয়ার্ডটিতে দু’ বছর যাবৎ কোনও কাউন্সিলর নেই। অথচ মেয়র কাউকে দায়িত্বও দেননি। এ সব দেখার কাজ পুরসভার।’’
মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের ভাল-মন্দ দেখার দায়িত্ব সব জনপ্রতিনিধির। তা ঠিক ভাবে পালন না করলে মানুষ অভিযোগ করবেনই।’’ মেয়রের কথায়, সাঁতরাগাছি স্টেশনের উন্নতি করতে গিয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের পাশের নয়ানজুলি বুজিয়ে ফেলে রেল। এর জেরে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের জল বেরোতে পারছে না। এ জন্যই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিরুদ্ধে গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তিনি। সমাধানের জন্য রেলের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে।