ফুটপাথ নেই,আছে হকার। ছবি: সুব্রত জানা।
পথচারীদের হাঁটার জন্য ফুটপাথ আছে। কিন্তু সেখানে তাঁদের পা রাখার জো নেই। কারণ সেখানে মৌরসীপাট্টা হকারদের। ফলে রাস্তাই ভরসা পথচারীদের। অভিযোগ, এর জন্য দুর্ঘটনা ঘটলেও ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে নির্বিকার হাওড়ার উলুবেড়িয়া মহকুমা প্রশাসন।
মহকুমা প্রশাসনের সমস্ত প্রশাসনিক ভবন রয়েছে উলুবেড়িয়া শহরে। এ ছাড়া আছে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল, ২৫টির মতো নার্সিংহোম, কলেজ, থানা। স্বাভাবিক ভাবে জনসংখ্যার পাশাপাশি বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যাও। তাই পথচারীদের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছে ফুটপাথ। তাও দখল হয়ে যাচ্ছে ছোট ছোট দোকানদার ও হকারদের দৌলতে।
উলুবেড়িয়া শহরের লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত ওড়িশা ট্রাঙ্ক (ওটি) রোড়। এ ছাড়া স্টেশন রোড, ফুলেশ্বর-উলুবেড়িয়া ও শ্যামপুর-উলুবেড়িয়া রোড ধরে শহরে প্রবেশ করতে হয়। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার পাশের ফুটপাথের কোনও অস্তিত্বই নেই। উলুবেড়িয়া পুরসভা পর্যন্ত এই অবস্থা। এরপরে কিছুটা রাস্তায় দখলদারি কম। তার পরে গরুহাটা ও সংলগ্ল এলাকা থেকে মহকুমাশাসকের অফিস হয়ে উলুবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এবং ভাগীরথী নদীর ধার পর্যন্ত দখলদারির চরম আকার নিয়েছে।
শুধু ফুটপাথ নয়, কোথাও কোথাও রাস্তার কিছু অংশ ছোট দোকানদার ও হকারদের দখলে চলে গিয়েছে। তাই পথচারীদের প্রশ্ন, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালন করে কী হবে? এ ভাবে যদি ফুটপাথ ও রাস্তা দখল হয়ে যায়, তা হলে পথচারীদের নিরাপত্তার কী হবে?
উলুবেড়িয়ার পুরপ্রধান অর্জুন সরকার বলেন, ‘‘ফুটপাথ না থাকাটা বড় সমস্যা জানি। এ ব্যাপারে পুরসভায় আলোচনা তো করা হবে। মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলব।’’