ফেরাল চার নার্সিংহোম, মৃত্যু হল জখম শিশুর

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০৩:১২
Share:

মৃত: রিয়া সরকার। নিজস্ব চিত্র

দুর্ঘটনায় কেউ জখম হলে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমকে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাকে ফেরানো যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন হুঁশিয়ারি বারবারই দিচ্ছেন। তবু তার মধ্যেই শুক্রবার উত্তরপাড়ায় টোটোর ধাক্কায় গুরুতর জখম এক পাঁচ বছরের শিশুকে নিয়ে এলাকার চারটি নার্সিংহোম ফিরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ তুললেন তার বাবাকে। শেষে শিশুটিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

উত্তরপাড়ার কোতরং ধাড়সার বাসিন্দা রিয়া সরকার নামে ওই শিশুটির বাবা রাজু সরকার এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। প্রতিটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে তলব করব। কোন পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটিকে ভর্তি না করে ফেরানো হল সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করব।’’ উত্তরপাড়ার ওই নার্সিংহোমগুলির কর্তাদের দাবি, ‘‘সেখানে শিশুটির চিকিৎসা সংক্রান্ত যথাযথ পরিকাঠামো না থাকায় অন্যত্র নিয়ে যেতে বলা হয়।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সে দিন দুপুরে বাড়ির কাছেই রাস্তায় কয়েকটি শিশুর সঙ্গে খেলছিল রিয়া। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি টোটো তাকে ধাক্কা মারে। শিশুটির কোমরে, মাথায় এবং পায়ে গুরুতর চোট লাগে। রাজুবাবু প্রথমে মেয়েকে নিয়ে কোতরং এলাকার একটি নার্সিংহোমে যান। অভিযোগ, শিশুর ওই ধরনের আঘাতের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই জানিয়ে নার্সিংহোম তাঁদের ফিরিয়ে দেয়। তার পরে ওই এলাকারই আর এক নার্সিংহোমে গেলে সেখানকার আরএমও (রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অফিসার) শিশুটিকে পরীক্ষা করে অবস্থা গুরুতর জানিয়ে অন্য একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন রাজুবাবুকে।

Advertisement

রাজুবাবুর অভিযোগ, ‘‘ওই পরামর্শ মতো আমরা উত্তরপাড়ার আরও দু’টি নার্সিংহোমে যাই। কিন্তু সেখানেও মেয়ের অবস্থা ভাল নয় বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’’ এর পরে আর দেরি করেননি রাজুবাবু। মেয়েক নিয়ে এসএসকেএমে যান। কিন্তু বাঁচাতে পারেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন