মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, হাওড়ায় তবু থামছে না গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

দলের হুঁশিয়ারিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল শাসিত জগৎবল্লভপুর ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে অনাস্থা প্রস্তাবে হারিয়ে দিলেন দলেরই একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জগৎবল্লভপুর শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:১৫
Share:

দলের হুঁশিয়ারিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল শাসিত জগৎবল্লভপুর ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে অনাস্থা প্রস্তাবে হারিয়ে দিলেন দলেরই একাংশ।

Advertisement

শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি হয়। প্রধান এবং উপপ্রধান গরহাজির ছিলেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা ১১। এর মধ্যে তৃণমূলের আট জন। পরে একজন মারা যাওয়ায় সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়ায় সাত-এ। সিপিএম-এর দুজন এবং কংগ্রেসের একজন সদস্য থাকলেও বিধানসভা নির্বাচনের পরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। গত ২১ নভেম্বর তৃণমূলের আটজন সদস্য বিডিও-র কাছে গিয়ে প্রধান মিতা দাস এবং উপপ্রধান কেশব বেজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। দু’জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে, তাঁরা পঞ্চায়েতের সদস্যদের অন্ধকারে রেখে সব কাজ করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজন-পোষণের অভিযোগও তোলা হয়।

শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি ছিল। অনাস্থা প্রস্তাব যাঁরা এনেছিলেন তাঁরা ভোটাভুটিতে হাজির হলেও প্রধান এবং উপপ্রধান আসেননি। প্রধান মিতাদেবী বলেন, ‘‘দলের উপর মহল থেকে নির্দেশ ছিল ভোটাভুটিতে যেন আমরা অংশ না নিই।’’ অন্য দিকে অনাস্থা প্রস্তাব যাঁরা এনেছি‌লেন তাঁদের অন্যতম সেখ মুস্তাকিন রহমান বলেন, ‘‘প্রধান এবং উপপ্রধান নিজের মতো চলতেন। কারও শুনতেন না। দুর্নীতি ও স্বজনপোষণে ডুবে গিয়েছিলেন। অনাস্থা আনা ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না।’’ যদিও দুর্নীতি ও স্বজন পোষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান ও উপপ্রধান।

Advertisement

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের হাওড়া জেলা সদর সভাপতি তথা রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দলের নির্বাচিত কোনও পঞ্চায়েত প্রধান বা উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না। অংশ নেওয়া যাবে না ভোটাভুটিতেও। যদি কেউ এই নির্দেশ অমান্য করে তা হলে তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। ভবিষ্যতেও তাঁকে আর টিকিট দেওয়া হবে না।

কিন্তু নেতৃত্বের সেই হুঁশিয়ারিকে দলের একাংশ যে পাত্তা দিচ্ছেন না তা গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের ঘটনাতেই প্রমাণ। মুস্তাকিন অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা দলের নেতাদের কাছে বহুবার প্রধান এবং উপপ্রধানের বিষয়টা তুলেছি। তাঁরা পাত্তা দেননি।’’ একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দল থেকে বহিষ্কার করে দিলেও আমাদের কিছুই যায় আসে না।’’

তবে শুধু গোবিন্দপুর নয়, হাওড়া জেলায় বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধানদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন দলেরই একাংশ। যার মধ্যে আছে ডোমজুড়ের উত্তর ঝাঁপড়দহ এবং বাগনানের সাবসিট। এ বিষয়ে অরূপবাবু বলেন, ‘‘সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে যাঁরা এ সব করছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েই বুঝিয়ে দেওয়া হবে তাঁরা কত বড় অন্যায় করছেন।’’

প্রতিবন্ধী দিবস। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালন করল প্রতিবন্ধীদের বিদ্যা‌লয় ‘শ্রীরামপুর চাইল্ড গাইডেন্স সেন্টার’। শহরের রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির কৃতী ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। পড়ুয়াদের তৈরি হস্তশিল্পের প্রদর্শনী হয়। এর পাশাপাশি, নাচ-গান পরিবেশন করে পড়ুয়ারা। স্কুলের স্মরণিকাও প্রকাশিত হয়। উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুর মহিলা থানার ওসি মনিরা বসু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন