অন্য টেস্ট পেপার নয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপারই ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। গত ১৩ ডিসেম্বর পর্যদের তরফে জানানো হয়েছিল আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের হাতে টেস্ট পেপার পৌঁছে যাবে। তারপর দু’সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। অথচ হাওড়া জেলায় উলুবেড়িয়া মহকুমার কোনও স্কুলেই পর্ষদের টেস্ট পেপার পৌঁছয়নি।
এই অবস্থায় পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবক সকলেই চিন্তিত। আগামী বছরের আগে তারা টেস্ট পেপার হাতে পাবে না বলে আশঙ্কা পড়ুয়াদের। ফলে ছেলেমেয়েদের মাধ্যমিকের প্রস্তুতিতেও ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা করছেন বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকেরা। যদিও দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষা দফতরের কর্তারা। হাওড়ার জেলা স্কুল পরিদর্শক (সেকেন্ডারী) তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘‘আশা করছি, দু-তিন দিনের মধ্যেই স্কুলগুলিতে টেষ্ট পেপার পৌঁছে দেওয়া যাবে।’’
মহকুমার বিভিন্ন স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার ফল দিন পঁচিশ আগে প্রকাশ হয়েছে। এমনকী মাধ্যমিকের ফর্ম পূরণও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনও স্কুলই মধ্যশিক্ষা পর্যদের দেওয়া টেষ্ট পেপার হাতে পায়নি।এতে বিপাকে পড়েছে উলুবেড়িয়া মহকুমা এলাকার হাজার হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, হাওড়া জেলায় এবার ৫২ হাজার টেষ্ট পেপারের বরাত দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা দফতরের কাছে। হাওড়া শহর ও সদর মহকুমার জন্য ২৬ হাজার ৫০০ ও উলুবেড়িয়া মহকুমার জন্য ২৫ হাজার ৫০০টি। সূত্রের খবর প্রথম ধাপে মাত্র ২৬ হাজার ৫০০টি টেষ্ট পেপার পাঠানো হয়েছিল। সেগুলি হাওড়া শহর ও সদর মহকুমার স্কুলগুলিতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপের ২৫ হাজার ৫০০টি টেষ্ট পেপার না আসায় উলুবেড়িয়া মহকুমা এলাকার স্কুলগুলোর হাতে তা পৌঁছে দেওয়া যায়নি।
আমতা পীতাম্বর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার দাস বলেন, ‘‘দু’মাসও বাকি নেই মাধ্যমিকের। এই সময়টা ছাত্রছাত্রীদেরদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ছাত্রছাত্রীদের হাতে টেষ্ট পেপার দ্রুত পৌঁছে দেওয়া খুবই জরুরি। সেটা না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের।’’ বাগনান আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতা মণ্ডল, শ্যামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম দাস সকলেরই একই বক্তব্য।
বহু পরীক্ষার্থীদেরই বক্তব্য, সরকারি টেস্ট পেপার না পেয়ে প্রস্তুতির জন্য চড়া দাম দিয়ে খোলা বাজার থেকে তাদের টেষ্ট পেপার কিনতে হচ্ছে।