ফাটল বাড়ল ঈশ্বরগুপ্ত সেতুতে। কল্যাণী-মগরার মধ্যে গঙ্গার উপরে এই সেতুর একাংশ আরও বসে গেল। যান চলাচল বন্ধ হয়েছিল শনিবারেই। রবিবার থেকে সেতু দিয়ে হাঁটাও বন্ধ করা হল।
ঘটনার পর দু’দিন কেটে গেলেও শুরু হল না সেতু মেরামতির কাজ। শনিবার সকালে এক ভ্যান চালকের প্রথম নজরে পড়ে সেতুর ফাটল। এর পর খবর যায় পুলিশে। বিশেষজ্ঞরা দফায় দফায় সেতুর ফাটল পরীক্ষা করে যানচলাচল বন্ধ করে দেন। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ররা জানান, সেতুর গার্ডারের নীচের বেয়ারিং সরে গিয়েই সেতুর একটা দিক বসে গিয়েছে।
রবিবার পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শ্রীকুমার ভট্টাচার্যের সঙ্গে এক বিশেষজ্ঞ দল ভাঙা অংশসহ পুরো সেতু পরীক্ষা করেন। শ্রীকুমারবাবু জানিয়েছেন, সোমবার থেকে সেতুর মেরামেতির কাজ শুরুর চেষ্টা করা হবে। কাজ কিছুটা এগোলে সেতু দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স-সহ স্কুলের গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তবে কবে সেটা হবে, তা পরিষ্কার করেননি তিনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি ছিল।
হুগলির সঙ্গে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার যোগাযোগের মাধ্যম এই সেতু। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, দিল্লি রোডের সঙ্গে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের জন্য এই সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম।
বর্ধমান-হুগলি থেকে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় সব্জির লরি আসে এই সেতু দিয়েই। ইন্ডিয়ান অয়েল-এর কল্যাণী বটলিং প্ল্যান্ট থেকে বর্ধমান-হুগলিতে সিলিন্ডারের লরিও এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। ব্যারাকপুর এবং কল্যাণী শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলিতে কাঁচা মালের লরিও এই সেতু দিয়েই যাতায়াত করে। সেতু দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই লরিগুলিকে ৪০ কিমি দূরের নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতু কিংবা ডানকুনি দিয়ে বালি ব্রিজ হয়ে যাতায়াত করতে হবে।