শ্রীরামপুর কলেজে গোষ্ঠী কোন্দল

জেলা নেতৃত্বকেই ভার দিলেন জয়া

শ্রীরামপুর কলেজে টিএমসিপি-র গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে জেলা নেতৃত্বকেই ভার দিলেন সংগঠনের রাজ্য সভান‌েত্রী জয়া দত্ত। তবে এর আগে জেলা টিএমসিপি-র তরফে জানানো হয়েছিল, জয়াই ‘ঝামেলা’ মেটাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ০০:৩৯
Share:

নির্দেশ: বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর কলেজে টিএমসিপির রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত। নিজস্ব চিত্র

শ্রীরামপুর কলেজে টিএমসিপি-র গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে জেলা নেতৃত্বকেই ভার দিলেন সংগঠনের রাজ্য সভান‌েত্রী জয়া দত্ত। তবে এর আগে জেলা টিএমসিপি-র তরফে জানানো হয়েছিল, জয়াই ‘ঝামেলা’ মেটাবেন।

Advertisement

গত কয়েক মাসে বারবারই টিএমসিপি-র দু’পক্ষের গোলমালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শ্রীরামপুর কলেজ। ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলররাও। ভোটে জেতার পরে ছাত্র সংসদের সভাপতি হন রুমি দাস। সম্পাদক হন অজিত যাদব। তাঁরা একই গোষ্ঠীর। দলের নির্দেশ অমান্য করে বোর্ড গঠনের বৈঠকে হাজির হওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। দলের নির্দেশে তাঁরা পদত্যাগের চিঠি দিলেও তা গৃহীত হয়নি। দ্বন্দ্বও মেটেনি। সম্প্রতি দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। দলের নির্দেশ না মেলায় ছাত্র সংসদের ঘর এখনও তালাবন্ধ।

বৃহস্পতিবার চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে টিএমসিপি-র সাংগঠনিক সভায় আসেন জয়া। সেখানে ওই কলেজের বিবদমান ছাত্রছাত্রীরা দু’দিকে দাঁড়িয়েছিলেন। তাতে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ জয়া তাঁদের এক দিকে দাঁড়াতে বলেন। সৎ ও একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে জয়া তাঁদের বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করব না।’’

Advertisement

টিএমসিপি শিবিরের খবর, আজ, শুক্রবার শ্রীরামপুরে গিয়ে যুযুধান দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসতে সংগঠনের হুগলি জেলা সভাপতি গোপাল রায়কে নির্দেশ দেন জয়া।

তবে, তাতে কতদূর কাজ হবে, তা নিয়ে টিএমসিপি-র অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, ছাত্র সংগঠন ব্যর্থ হওয়াতেই গোলমাল মেটাতে স্থান‌ীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনায় বসবেন বলে ঠিক হয়েছিল। কল্যাণবাবু এখন অসুস্থ। জয়া জানান, ওই কলেজের সমস্যা মেটাতে দলের রাজ্য নেতৃত্ব চিন্তাভাবনা করছেন। তাঁদের নির্দেশেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সার্বিক ভাবে ওই কলেজে সংগঠন দেখাশোনার ভার দলের জেলা যুব সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

কয়েক দিনের মধ্যেই কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। সে দিকে তাকিয়ে জেলার সমস্ত কলেজের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের একসাথে কাজ করার পরামর্শ দেন জয়া। সভায় উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, জেলা সভাধিপতি মেহবুব রহমান, জেলা যুব সভাপতি শান্তনুবাবু-সহ অন্যরা। এ দিন প্রয়াত এসএফআই জেলা সম্পাদক অর্ণব বসুর স্মৃতিতে শোক জানানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন