এই রেজিস্টারই দেওয়া হবে মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষকে। নিজস্ব চিত্র
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দাহকার্যের সময়ে কাশীপুর মহাশ্মশানের যে রেজিস্টারে তা লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, তার অবিকল একটি প্রতিলিপি পয়লা বৈশাখের পরে যে কোনও দিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবে পুর প্রশাসন। বেলুড়ে গিয়েই সেই কাজ সম্পন্ন করবে পুরসভা। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এ খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান, কাঁকুড়গাছি রামকৃষ্ণ মঠ, যোগোদ্যানের অধ্যক্ষ তথা বেলুড় মঠ সংগ্রহশালার ভারপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী স্বামী বিমলাত্মানন্দ বৃহস্পতিবার পুর ভবনে গিয়ে পুরসভার তৈরি ওই রেজিস্টার দেখেছেন।
১৮৮৬ সালের ১৬ অগস্ট শ্রীরামকৃষ্ণের মহাপ্রয়াণ হয়। তাঁকে কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের (তৎকালীন চিৎপুর পুরসভা) শুরুতে থাকা কাশীপুর মহাশ্মশানে দাহ করা হয়েছিল। শ্মশানের সেই রেজিস্টারেরই অবিকল নকল তৈরি করা হয়েছে বেলুড়ের সংগ্রহশালার জন্য।
পুরসভা সূত্রের খবর, ওই রেজিস্টারে ১৮৮২ সালের ৯ এপ্রিল থেকে ১৮৮৯ সালের ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত কাশীপুর শ্মশানে দাহ হওয়া সকলের নথি রয়েছে। ক্রমিক সংখ্যা এক থেকে শুরু হয়ে ৯৫০ নম্বরে নাম রয়েছে ‘রামকিষ্ট পরমহংস’-এর। বয়স: ৫২ বছর। মৃত্যুর কারণ: গলায় ঘা। আর সে দিন শ্রীরামকৃষ্ণের শব নিয়ে যাঁরা শ্মশানে গিয়েছিলেন, তাঁদের পক্ষে গোপালচন্দ্র ঘোষ (গিরিশচন্দ্র ঘোষ নয়) স্বাক্ষর করেছিলেন শ্মশানের রেজিস্টারে। তা-ও লিপিবদ্ধ রয়েছে। পরমহংসদেবের নথি একটি পাতায় থাকলেও রেজিস্টারের শুরু থেকে ১৩টি পাতার অবিকল প্রতিলিপি তৈরি করে বানানো হয়েছে রেজিস্টারটি। তার উপরে লেখা হয়েছে ‘প্রিজার্ভড বাই কলকাতা কর্পোরেশন’। আর মাঝখানে লেখা ‘ডেথ রেজিস্টার অব কাশীপুর পুলিশ স্টেশন....’। অতীনবাবু বলেন, ‘‘বেলুড়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ এসেছে। খুব শীঘ্রই সেখানে আমরা যাব।’’