কিশোরীর বিয়ের চেষ্টা, হস্তক্ষেপ প্রশাসনের

প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবার এলাকার একটি হাই মাদ্রাসায় জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের (ডালসা) উদ্যোগে ছোটদের সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি ছিল। চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিও হাজির ছিলেন। সেখানেই সহপাঠীদের কাছ থেকে দুই কিশোরীর বিয়ের তোড়জোড়ের খবর মেলে। তাদের এক জন তফসিলি জাতি, অন্য জন তফসিলি উপজাতিভুক্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিপাল শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৯ ০৫:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

দু’জনেরই বয়স ১৪ বছর। এক জনের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। অপর জনের দেখাশোনা চলছিল। খবর পেয়ে হস্তক্ষেপ করল প্রশাসন। তাদের কাছে মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকরা জানালেন, সাবালিকা না হলে বিয়ে দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার হুগলির মালিয়ার ঘটনা।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবার এলাকার একটি হাই মাদ্রাসায় জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের (ডালসা) উদ্যোগে ছোটদের সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি ছিল। চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিও হাজির ছিলেন। সেখানেই সহপাঠীদের কাছ থেকে দুই কিশোরীর বিয়ের তোড়জোড়ের খবর মেলে। তাদের এক জন তফসিলি জাতি, অন্য জন তফসিলি উপজাতিভুক্ত।

বৃহস্পতিবার হরিপাল ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক থানা, চাইল্ড লাইন এবং ডালসার প্রতিনিধিদের নিয়ে তাদের বাড়িতে যান। একটি মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা খেতমজুর। কয়েক দিন পরেই তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। সেই কারণে মেয়েটি মাদ্রাসায় যাচ্ছিল না। প্রশাসনের আধিকারিকরা বললেও প্রথমে বিয়ে ভাঙতে রাজি ছিলেন না বাড়ির লোকেরা। পরে তাঁরা রণে ভঙ্গ দেন। আঠেরো বছর না হলে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হবে না বলে মুচলেকা দেওয়া হয়।

Advertisement

অপরজন কিশোরী অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। সে-ও মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তার বাবা-মা খেতমজুরি করেন। এ ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনের আসার খবর পেয়ে মেয়েটিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাতে সাহায্য করেন বলে অভিযোগ। শেষ রক্ষা হয়নি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মা মুচলেকা দিয়ে জানান, সাবালিকা না হলে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন