কাঠগড়ায় আইএনটিটিইউসি ব্যারিকেড ওঠেনি, এখনও

বন্ধ বর্ষাতি তৈরির কারখানা

এখনও বাঁশের ব্যারিকেড ও বোল্ডার ফেলে আটকে রাখা হয়েছে মোল্লাবেড়ের বর্ষাতি তৈরির কারখানার গেট। গত ৫ মে থেকে চলছে এই সমস্যা। কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শ্রমিকদের বাধায় ওই দিন থেকে তাঁরা কারখানায় ঢুকতে পারছেন না। ফলে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৭ ০৩:২১
Share:

অবরুদ্ধ: কারখানায় ঢোকার মুখে বাধা। নিজস্ব চিত্র

এখনও বাঁশের ব্যারিকেড ও বোল্ডার ফেলে আটকে রাখা হয়েছে মোল্লাবেড়ের বর্ষাতি তৈরির কারখানার গেট। গত ৫ মে থেকে চলছে এই সমস্যা। কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শ্রমিকদের বাধায় ওই দিন থেকে তাঁরা কারখানায় ঢুকতে পারছেন না। ফলে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না।

Advertisement

‘ত্রিমূর্তি ইনডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ নামে ওই কারখানায় রবারের বর্ষাতি ছাড়াও রবার ক্লথ তৈরি হয়। সম্প্রতি পর্যাপ্ত বরাত না থাকার কারণ দেখিয়ে ওই কারখানায় ‘লে-অফ’ ঘোষণা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। গত ২০ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত ‘লে-অফ’ চলে। ৫ মে থেকে ‘লে-অফ’ তুলে নেওয়া হয়। তার পর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির লোকজন ওই কারখানার গেটে ব্যারিকেড ও বোল্ডার ফেলে রেখেছেন বলে অভিযোগ।

এই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির হুগলি জেলা সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্যের ক্ষোভ, ‘‘একেই বড় শিল্প আসছে না। তার পর শাসক দলের লোকেরা নিজেরাই ছোট কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন। প্রশাসক আর কবে ব্যবস্থা নেবে?’’ স্থানীয় সিপিএম নেতা আজিম আলির কটাক্ষ, ‘‘কখনও কারখানা কর্তৃপক্ষ উৎপাদন বন্ধ রাখছেন, কখনও শাসক দলই কারখানা চালাতে দিচ্ছে না। লক্ষণ দেখে তো মনে হচ্ছে, কোনও পক্ষই চায় না কারখানা চলুক।’’

Advertisement

যদিও আইএনটিটিইউসির হুগলি জেলা সভাপতি অন্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিরোধীরা যা খুশি বলতেই পারেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনার জন্যই শ্রমিকদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। তাঁদের সমস্যা লাঘবের জন্যই আন্দোলন হচ্ছে। শ্রমিকেরাই আবেগতারিত হয়ে ব্যারিকেড দিয়েছেন।’’ তাঁর দাবি, ওই কারখানায় শ্রমিকদের সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি দেওয়া হয় না। লে-অফকে বেআইনি বলে ঘোষণা করতে হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

কারখানার ডিরেক্টর অতনু সেন বলেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে কারখানা লোকসানে চলছে। বরাত মিলছে না। তা সত্ত্বেও কারখানা চালাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকদের বিরোধিতায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না।’’ তাঁর দাবি, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি না দেওয়ার কথা মিথ্যা। শ্রমিকদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন