কল্যাণ-তীর্থঙ্করের প্রচার হেঁটে, সেতার হাতে মাকসুদা

গরলগাছা এবং বরিজহাটি এলাকায় পদযাত্রা করেন কল্যাণ। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। এই লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকার হুগলির বন্ধ জুটমিল খোলার ব্যাপারে বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীতলা ও উলুবেড়িয়া: শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯ ০৫:৫৯
Share:

চমক: প্রচারে বেরিয়ে সেতার বাজালেন মাকসুদা খাতুন। নিজস্ব চিত্র।

এতদিন তিনি কর্মিসভাতেই জোর দিচ্ছিলেন। শনিবার থেকে পুরোদস্তুর প্রচারে পথে নামলেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায় অবশ্য আগেই প্রচারে পথে নেমেছেন। এ দিনও মিছিল করলেন হিন্দমোটরে।

Advertisement

সকালে চণ্ডীতলার চণ্ডী মন্দিরে পুজো দিয়ে গরলগাছা এবং বরিজহাটি এলাকায় পদযাত্রা করেন কল্যাণ। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। ওই এলাকায় পর্যাপ্ত দলীয় ব্যানার-পোস্টার দেখতে না-পেয়ে গরলগাছা পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কল্যাণ। পরে অবশ্য স্থানীয় নেতারা তাঁকে আশ্বস্ত করেন, প্রচার কর্মসূচি চলছে। সব এলাকাতেই ব্যানার-পোস্টার টাঙানো হবে। বিকেলে ডানকুনি এলাকায় প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী।

এই লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকার শুক্রবারই হুগলির বন্ধ জুটমিল খোলার ব্যাপারে শ্রীরামপুরের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শনিবার কল্যাণ এর দায় কেন্দ্রের ঘাড়েই চাপিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি-র জন্যই রাজ্যের জুটমিলগুলির এই হাল। আগে জুটমিলের একশো শতাংশ বস্তাই কেন্দ্র কিনত। কংগ্রেস সেটা ৯০ শতাংশে নামিয়ে আনে। আর বিজেপি প্লাস্টিক-লবিকে বাঁচাতে গিয়ে সেটা ৭৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। কেন্দ্র জুটমিলগুলির উৎপাদিত পণ্য না-কেনাতেই রাজ্যের জুটমিলগুলির এই হাল।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সিপিএমের হিন্দমোটর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে এ দিন বিকেলে প্রার্থী তীর্থঙ্করকে নিয়ে রবীন্দ্রনগর পিপলস্ অ্যাসোসিয়েশনের মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়। ট্যাবলো, বেলুনে সাজানো মিছিলের সামনে ছিলেন তীর্থঙ্কর। রবীন্দ্রনগর, হিন্দমোটর বটতলা, নন্দনকানন ছুঁয়ে মিছিলটি বেঙ্গল ফাইন মোড় হয়ে জোড়াপুকুরে গিয়ে শেষ হয়।

ভোটের প্রচারে পিছিয়ে নেই হাওড়াও। শনিবার ফতেপুরে প্রচার সারলেন উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী মাকসুদা খাতুন। স্থানীয় একটি বাদ্যযন্ত্র তৈরির দোকানে গিয়ে সেতারও বাজান তিনি। মাকসুদা বলেন, ‘‘বাদ্যযন্ত্রের কারিগরদের কাছ থেকে তাঁদের সমস্যার কথা শুনলাম। জিতলে নিশ্চয় সমাধানের
চেষ্টা করব।’’ এ দিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সিপিএম প্রার্থী সাবিরুদ্দিন মোল্লা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি প্রচার চালান দিনভর। তৃণমূল প্রার্থী ইদ্রিশ আলি অবশ্য এখনও বাড়ি বা পাড়া ঘুরে প্রচার শুরু করেননি। তিনি ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে পরিচয়-পর্ব সারছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন