ভাল ফল করেও চিন্তিত সৈকত

অভাব যে পড়াশোনার পথে বাধা হতে পারে না, নিজের রেজাল্ট দিয়েই তা প্রমাণ করেছে শ্রীরামপুরের গোস্বামীপাড়ার সৈকত মাঝি। মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয় (উচ্চ মাধ্যমিক) থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ৮৫% নম্বর পেয়েছে সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৬ ০২:৪৭
Share:

সৈকত মাঝি

অভাব যে পড়াশোনার পথে বাধা হতে পারে না, নিজের রেজাল্ট দিয়েই তা প্রমাণ করেছে শ্রীরামপুরের গোস্বামীপাড়ার সৈকত মাঝি। মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয় (উচ্চ মাধ্যমিক) থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ৮৫% নম্বর পেয়েছে সে।

Advertisement

বাবা লক্ষ্মীকান্ত মাঝি শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছে অপরের দোকানে সাইকেল জমা রাখার কাজ করেন। মা পুতুলদেবী গৃহবধূ। ছেলেকে নিয়ে তাঁরা গোস্বামীপাড়ার এঁদোপুকুরে একটি বাড়িতে ভা়ড়া থাকেন। যৎসামান্য আয়ে বাড়ি ভাড়া এবং সংসার চালানোর খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খান লক্ষ্মীকান্তবাবু। তা সত্ত্বেও এত দিন ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন যথাসাধ্য। ছেলে ভাল নম্বর পেয়ে পাশ করায় লক্ষ্মীকান্তবাবু এবং পুতুলদেবী দু’জনেই উচ্ছ্বসিত। কিন্তু ছেলের উচ্চশিক্ষার খরচ কী করে সামাল দেবেন, ভেবে কুলকিনারা পান না ছাপোষা দম্পতি।

সৈকতের প্রাপ্ত মোট নম্বর ৫৯২। বাংলায় সে পেয়েছে ৭২, ইংরেজিতে ৮৩। অঙ্কে তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৪। ভৌতবিজ্ঞানে ৯২। জীবন বিজ্ঞানে ৯৯। আপাতত সে বিজ্ঞান শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে পড়তে চায়। তার পরে জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায়। দু’চোখ জুড়ে স্বপ্ন। বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা তার। কিন্তু সেই খরচ কী করে জোগান দেবেন, সেটাই প্রশ্ন ঝুলিয়ে দিয়েছে পরিবারের সামনে। লক্ষ্মীকান্তবাবু বলেন, ‘‘এত দিন কষ্ট করেও ছেলের পড়ার খরচ জুগিয়েছি। ওকে বড় করে তুলতে চেষ্টার ত্রুটি রাখব না। কিন্তু সবটা পারব কি না, জানি না।’’ আর সৈকতের কথায়, ‘‘পড়াশোনায় ফাঁকি দেব না। বাকিটা পরে ভাবা যাবে। যতদূর সম্ভব পড়তে চাই।’’

Advertisement

(ফোন নম্বর – ৮০১৭৪৯৪০৭৬)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন