প্রতীকী ছবি।
সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কেন্দ্রের কাছে ১৪ হাজার কোটি টাকার দাবি জানাতে চলেছে রাজ্য সরকার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতিতে কেন্দ্র এখনও কোনও আর্থিক সাহায়্য করেনি, এই অভিযোগ তুলে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যের দাবিতে একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি দমার পাত্রী নন। ১৪ হাজার কোটি টাকার বন্যার ক্ষতিপূরণ চেয়ে তিনি ফের কেন্দ্রকে চিঠি দেবেন।’’
বন্যার রাজ্যের বহু জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, নষ্ট হয়েছে চাষ, ভেঙেছে নলকূপ। দিনতিনেক আগে হাওড়ার আমতা-২ ব্লকের জয়পুরে বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধগুলির মেরামতি কাজের তদারকি করতে এসেছিলেন সেচমন্ত্রী। সেখানেই তিনি ওই কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘‘১৯৭৮ সালের বন্যার পরে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারকে কেন্দ্র ঢেলে সাহায্য করেছিল। এ বারের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ১৯৭৮ সালের মতো না-হলেও তার প্রায় কাছাকাছি। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও খাতেই এখনও পর্যন্ত একটি পয়সা সাহায্য মেলেনি কেন্দ্রের কাছ থেকে।’’
ইতিমধ্যেই অবশ্য নদীবাঁধ মেরামতিতে হাত দিয়েছে রাজ্য সরকার। হাওড়ায় প্লাবিত হয়েছিল দু’টি ব্লক। উদয়নারায়ণপুর এবং আমতা-২। শুধুমাত্র এই দুই ব্লকেই বাঁধ মেরামতিতে প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে জানিয়ে সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘চূড়ান্ত হিসাব না-হলেও বাঁধ মেরামতিতে এখনও পর্যন্ত কয়েকশো কোটি টাকা চলে গিয়েছে। রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকেই ওই কাজ হচ্ছে।’’
শুধু বন্যাতেই নয়, নদী সংস্কারে রাজ্যে যে সব প্রকল্প অনেক আগে হাতে নেওয়া হয়েছে সেগুলির প্রতিও কেন্দ্র উদাসীন বলে অভিযোগ করেছেন সেচমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘‘চার বছর আগে কেন্দ্র কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্প, কান্দি মাস্টার প্ল্যান এবং আয়লায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। চার বছরে তিনটি প্রকল্প বাবদ রাজ্যের পাওনা হয় ২১৯ কোটি টাকা। পাওয়া গিয়েছে মাত্র ২৫ কোটি টাকা।’’মুখ্যমন্ত্রী ওই সব দাবি নিয়ে বার বার চিঠি দিলেও কেন্দ্রের ঘুম ভাঙেনি বলে মন্তব্য করেন রাজীববাবু।