শুভলগ্না খুনে অস্ত্রের

শুভলগ্না খুনে অস্ত্রের জোগানদার সন্দেহে ধৃত

আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। শনিবার রাতে কোন্নগরের বাগখাল এলাকার থেকে শেখ মুরাদ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, আগে থেকে খবর পেয়েই বাগখাল এলাকার যুগি লেনে মুরাদের ডেরায় তল্লাশি চালানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৯
Share:

ধৃত শেখ মুরাদ। নিজস্ব চিত্র

আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। শনিবার রাতে কোন্নগরের বাগখাল এলাকার থেকে শেখ মুরাদ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, আগে থেকে খবর পেয়েই বাগখাল এলাকার যুগি লেনে মুরাদের ডেরায় তল্লাশি চালানো হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, কোন্নগরের বাসিন্দা শুভলগ্না চক্রবর্তী খুনে ব্যবহৃত পিস্তলটির জোগান দিয়ে থাকতে পারে এই মুরাদই।

Advertisement

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভলগ্না খুনে মূল অভিযুক্ত শেখ সুলতান কোন্নগরের করাতিপা়ড়ার বাসিন্দা। সুলতানও একটি পিস্তল ব্যবহার করেছিল বৃহস্পতিবার রাতে। সেটি কোথা থেকে এসেছিল তারই তদন্ত চলছে। সেই সূত্রেই গ্রেফতার করা হয়ে থাকতে পারে মুরাদকে। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এলাকায় কোনও অপরাধ মূলক কাজে যুক্ত হয়ে পুলিশের খাতায় নাম ওঠেনি মুরাদের। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়, নৈহাটি এলাকার দুষ্কৃতীদের অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে সে যুক্ত ছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার বলেন, ‘‘জেরা চলছে। ওই যুবক কোথা থেকে অস্ত্র নিয়ে এসেছিল, আর কে কে যুক্ত আছে— সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

রবিবারই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে নিহত শুভলগ্নার। গত বৃহস্পতিবার শেখ সুলতানের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। সে সময়ই তাঁর বাবা-মাকেও পিস্তলের বাঁট দিয়ে আঘাত করে সুলতান। মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁরাও। শুক্রবার শ্রীরামপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর থেকে শুভলগ্নার দেহ রাখা ছিল উত্তরপাড়া পুরসভার ‘প্রতীক্ষা’য়। শনিবার রাতে বিদেশ থেকে ফিরেছেন তাঁর ভাই তন্ময় চক্রবর্তী। তারপরই এ দিন সকালে শুভলগ্নার দেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কোন্নগরের অলিম্পিক মাঠ লাগোয়া এলাকায় মৃতদেহ পৌঁছতেই ভিড় করেন আত্মীয়-প্রতিবেশীরা। শোকের সঙ্গে সঙ্গে বার বার দুলে উঠেছে আশঙ্কা আর আতঙ্ক— ‘‘এ কোথায় বাস করছি আমরা!’’ চক্রবর্তী পরিবারের প্রতিবেশী সোমা মাইতি বলেন, ‘‘বাড়ির ভিতর ঢুকে এমন ভাবে মেরে ফেলল মেয়েটাকে। আমরা তারপর থেকে আর ঘুমোতে পারছি না। সারাদিন আতঙ্ক ঘিরে রয়েছে।’’

Advertisement

এ দিন শুভলগ্নার ঘরে ঢুকে দেখা গেল সেই দেওয়াল, যেখানে রক্তমাখা হাত মুছে ফেলেছিল সুলতান। শুভলগ্নার কাকা দীপক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সেই তো পুলিশ এল, গ্রেফতার করল। আগে এলে এ ভাবে ঘরের দেওয়ালে রক্তের দাগ লাগত না। আমাদের মেয়েটাও বাঁচত।’’

পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার থেকেই অবশ্য এলাকায় টহল দিয়েছে র‌্যাফ। শুভলগ্নাদের বাড়ির সামনে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেটও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন