ত্রাণ বণ্টন নিয়ে বচসার জেরে এক ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে লাঠি, রড দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে লিলুয়ার ভট্টনগরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিমাই বর নামে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর স্ত্রী রুমা বরের অবশ্য অভিযোগ, এলাকায় মদ, জুয়া, সাট্টার প্রতিবাদ করাতেই এই হামলা।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ জানায়, ভট্টনগরের চকপাড়া আনন্দনগর পঞ্চায়েত অফিসের পাশে দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকেন ওই দম্পতি। গত সপ্তাহে প্রবল বৃষ্টির পরে বুধবার জলবন্দি মানুষকে ত্রাণ দিচ্ছিল পঞ্চায়েত। ত্রাণের চাল কম-বেশি দেওয়া নিয়ে নিমাইবাবুর সঙ্গে কয়েক জন যুবকের বচসা বাধে। অভিযোগ, ওই দম্পতিকে ‘দেখে নেবে’ বলে হুমকি দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ওই দিনই দুপুরে নিমাইবাবু কাজে যাওয়ার পথে একটি স্কুলের কাছে ১০-১২ জন যুবক তাঁকে ঘিরে ধরে। অভিযোগ, রড ও লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারা হয়। গলাও টিপে ধরা হয়। এলাকাবাসীরাই নিমাইবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শুক্রবার হাসপাতালে নিমাইবাবু বলেন, ‘‘যে ভাবে ওরা আমার গলা টিপে ধরে, মনে হয়েছিল মেরে ফেলতে চায়। লোকজন চলে আসায় পারেনি।’’ রুমাদেবীর অবশ্য অভিযোগ, ‘‘ত্রাণের বিষয়টি উপলক্ষ মাত্র। আসলে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের পাশে মদ, গাঁজা, জুয়ার ঠেক গজিয়ে ওঠার প্রতিবাদ করেছিলাম আমি। তাই আমার স্বামীকে মারধর করা হল।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। শীঘ্রই তারা ধরা পড়বে।’’