জখম: শুক্রবার সকালে বাড়ির সামনে রবীন্দ্রনাথ দাস। নিজস্ব চিত্র
ফের আক্রান্ত প্রতিবাদী। এলাকায় গজিয়ে উঠছিল মদ-গাঁজার ঠেক, তার প্রতিবাদ করায় মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল প্রাক্তন সাঁতারুর। বৃহস্পতিবার বৈদ্যবাটি এলাকার রাজারবাগান কলোনির ঘটনা।
দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় চলছিল মদ-গাঁজার আসর ঠেক। বসে জুয়ার আসরও। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সে সব দেখেও দেখে না পুলিশ।
দোলের দিন সকাল থেকেই সেখানে শুরু হয়েছিল মোচ্ছব। রবীন্দ্রনাথ দাস নামে স্থানীয় বাসিন্দা এক যুবক প্রতিবাদ করেন। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একপ্রস্ত বচসা হয়। অভিযোগ সে সময়ই এক দফা মারধর করা হয় প্রাক্তন সাঁতারু রবীন্দ্রনাথকে।
তিনি শেওড়াফুলি ফাঁড়িতে মারধরের অভিযোগ জানান স্থানীয় কিছু যুবকের বিরুদ্ধেই। পুলিশ কয়েকজনকে আটকও করে। কিন্তু রাতে ওই ঠেকের লোকজনই হামলা চালায় রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে।
এ বার মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় রবীন্দ্রনাথের। আক্রান্ত হন তাঁর বৃদ্ধা মা সন্ধ্যা দাসও। প্রতিবেশীরাই তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এরপর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। পুলিশের গাড়ি ঘিরে চলে বিক্ষোভ।
শুক্রবার রবীন্দ্রনাথ ফের পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের বক্তব্য, মদ-গাঁজার ঠেক বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। ওই এলাকায় চোরাগোপ্তা ভাবে তা হয়ে থাকতে পারে। ওখানেও নজরদারি চালানো হবে। বাসিন্দারাও যাতে পুলিশে খবর দেন, সে জন্য সতর্ক করেন তারা।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘কোথাও ঠেক চললে প্রয়োজনে পরিচয় গোপন রেখেও অভিযোগ জানানো যেতে পারে। খবর পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’