ডেঙ্গি রোধে বৈঠক শ্রীরামপুরে

শ্রীরামপুরে সম্প্রতি ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় তৎপর হয়ে উঠেছিল হুগলি জেলা প্রশাসন। ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুরকর্মী থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন এলাকা সাফাইয়ের কাজে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নামানো হয়। ডেঙ্গি প্রতিরোধে সেই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে রবিবার শ্রীরামপুর পুরসভায় প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৬ ০২:৪৫
Share:

শ্রীরামপুরে সম্প্রতি ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় তৎপর হয়ে উঠেছিল হুগলি জেলা প্রশাসন। ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুরকর্মী থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন এলাকা সাফাইয়ের কাজে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নামানো হয়। ডেঙ্গি প্রতিরোধে সেই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে রবিবার শ্রীরামপুর পুরসভায় প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল, শ্রীরামপুরের মহাকুমাশাসক রজত নন্দা, জেলার মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায় ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিসররা।

Advertisement

জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, ‘‘শ্রীরামপুর শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। তবে মানুষের মন থেকে এই রোগের ভীতি দূর করতে হবে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতা শিবির চালাতে হবে। শুধু প্রশাসনিকভাবে নয়, পুরবাসীকেও নিজের নিজের এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আবেদন জানানো হবে।’’ তিনি জানান, ডেঙ্গি বাইরে থেকে আসেনি। এলাকায় জমা জলে মশার বংশ বিস্তারের কারণে এই রোগ ছড়িয়েছে শহরে। কোনওভাবে যাতে মশা না জন্মাতে পারে তার জন্য বাসিন্দাদের সতর্ক হওয়া দরকার। নিজেরা না পারলেও পুর কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত। জ্বরে আক্রান্ত হলেই হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মানুষের মন থেকে ভয় দূর হলে এবং এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগী হলে শহর থেকে ডেঙ্গি নির্মূল সম্ভব।’’

মহাকুমাশাসক রজত নন্দা বলেন, ‘‘শ্রীরামপুর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে যে ভাবে ডেঙ্গি ছড়িয়েছিল বর্তমানে তা অনেকটাই কমেছে। তবে এই রোগ দূর করতে সকলকে সচেতন হতে হবে। গত পাঁচদিনে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ৬ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। যা আগের থেকে অনেকটাই কম।’’

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে শ্রীরামপুরে ডেঙ্গির প্রকোপ আগের তুলনায় কমেছে। তবে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এলাকার জমা জল এবং আবর্জনা সাফাই করে মশার উপদ্রব কমানোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন