পেঁয়াজ চাষ ও সংরক্ষণে জোর দিলেন কৃষিমন্ত্রী

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষের ফলন বৃদ্ধি করে তার সংরক্ষণ এবং বীজের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার আশ্বাস দিলেন কৃষিমন্ত্রী। সোমবার চুঁচুড়ার ধান্য গবেষণা কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানকেন্দ্র ভবনে হুগলি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র ও বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এক কৃষক সম্মেলন হয়ে গেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৫ ০০:১৯
Share:

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষের ফলন বৃদ্ধি করে তার সংরক্ষণ এবং বীজের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার আশ্বাস দিলেন কৃষিমন্ত্রী।

Advertisement

সোমবার চুঁচুড়ার ধান্য গবেষণা কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানকেন্দ্র ভবনে হুগলি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র ও বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এক কৃষক সম্মেলন হয়ে গেল। কৃষিভিত্তিক এই রাজ্যে সমস্ত রকম চাষ হয়। খাদ্যশস্য, তৈলশস্য, পাট, ধান, শাকসবজি সবই এখানে উৎপাদন হয়। কিন্তু পেঁয়াজ উৎপাদনে এ রাজ্য অনেক পিছিয়ে। পেঁয়াজের সংকট মেটাতে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভর করতে হয়। রাজ্যে যতটা পেঁয়াজ হয় তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। তাই বৈজ্ঞানিক নতুন পদ্ধতিতে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়িয়ে তার সংরক্ষণে এ দিন সরকারী সাহায্যের আশ্বাস দেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কৃষিপ্রধান এই রাজ্যে সব রকম চাষই কৃষকরা করে থাকেন। তাঁদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণ ঠিকমত হয় না। সে ক্ষেত্রে তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়েন। যেমন অতি ফলন হলে ক্ষতি হয়। তেমনই কম ফলন হলেও ক্ষতি হয়। তা ছাড়া পোকামাকড়ের উৎপাতে জমির ফসল নষ্ট হয়েও ক্ষতি হয়। তাই ক্ষতির হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করতে রাজ্য সরকার নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’

কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, চাষিদের জৈব চাষের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কৃষি বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে চাষিদের যোগাযোগ আরও নিবিড় করার মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে এবং তা সংরক্ষণের পদ্ধতি শিখতে হবে। রাজ্যে মোট ১৮টি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং ১৯৪টি কৃষি খামার রয়েছে। রাজ্যের কৃষি ক্ষেত্রকে আরও উন্নত করে তোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আলু চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের কৃষি বিমার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চাষের ক্ষতি হলে চাষিরা যাতে শীঘ্র বিমার টাকা পান তার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন