প্রতীকী ছবি।
মেয়ের বিয়েতে টাকার জন্য সরকারি প্রকল্পে আবেদন করেছিল একটি পরিবার। নথিপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকেরা থ, মেয়েটির এখনও বিয়ের বয়সই হয়নি! প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার হুগলির চাঁপদানির ফেসুয়াবাগানের বাসিন্দা কিশোরীর বিয়ের তোড়জোড় বন্ধ হল। মেয়েটিকে হোমে পাঠানো হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটি স্কুলছুট। তার বাবা চটকল কর্মী। পরিবারের লোকজন কল্যাণীর এক যুবকের সঙ্গে আগামী ৬ জুলাই মেয়েটির বিয়ে ঠিক করেন। রাজ্য সরকারের ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে বিয়েতে খরচের জন্য মেয়ের পরিবার ২৫ হাজার টাকা পায়। এ জন্য নিয়ম অনুসারে বিয়ের কার্ড দিয়ে সরকারি দফতরে আবেদন জানান মেয়েটির বাড়ির লোকেরা। ওই আবেদনের ভিত্তিতে এ দিন চন্দননগর মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক সরেজমিনে খোঁজখবর নিতে মেয়েটির বাড়িতে যান। নথিপত্র পরীক্ষা করে তিনি দেখেন, মেয়েটির আঠেরো বছর পূর্ণ হতে এখনও বেশ কয়েক দিন বাকি। সাবালিকা না-হলে মেয়েটির বিয়ে দেওয়া যাবে না বলে তিনি পরিবারের লোকজনকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। মেয়েটিকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেন।
ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই দিনই পুলিশের তরফে মেয়েটিকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাকে উত্তরপাড়ার হোমে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের একটি সূত্রের বক্তব্য, নিষেধ অগ্রাহ্য করে অন্য কোথাও যাতে মেয়েটির বিয়ে দেওয়া না-হয়, সে জন্যই পদক্ষেপ করা হয়েছে। চাইল্ড লাইনের এক আধিকারিক জানান, কম বয়সে মেয়ের বিয়ে দিলে কী সমস্যা হতে পারে, সে ব্যাপারে ওই কিশোরীর অভিভাবকদের বোঝানো হয়েছে। মেয়েটিরও কাউন্সেলিং করানো হয়। তাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সামনে হাজির করানো হবে। ওই কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।