সিঙ্গুরের সেই জমিতে এ বার হচ্ছে বোরো চাষ

প্রথমে ছিল আলু। তার পরে সর্ষে। দু’টিই ছিল পরীক্ষামূলক চাষ। এ বার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সিঙ্গুরের সেই জমিতে পুরোদস্তুর চাষাবাদ শুরু হলে গেল। বুধবার সেখানে বোরো ধানের চারা রোপণ করলেন হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:১০
Share:

চাষের কাজে হাত লাগিয়েছেন বিধায়ক বেচারাম মান্না। ছবি: দীপঙ্কর দে।

প্রথমে ছিল আলু। তার পরে সর্ষে। দু’টিই ছিল পরীক্ষামূলক চাষ। এ বার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সিঙ্গুরের সেই জমিতে পুরোদস্তুর চাষাবাদ শুরু হলে গেল। বুধবার সেখানে বোরো ধানের চারা রোপণ করলেন হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না।

Advertisement

টাটাদের জমি অধিগ্রহণ অবৈধ, সুপ্রিম কোর্ট এই রায় ঘোষণার পরেই রাজ্য সরকার ওই জমি চাষযোগ্য করে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। সেইমতো সরকারি বিভিন্ন দফতরকে সিঙ্গুরের মাঠে নামানো হয়। কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুও বারে বারেই বলেছেন, সিঙ্গুরের চাষিদের সহায়তা দেবে রাজ্য সরকার। তারই পদক্ষেপ হিসেবে বুধবার সিঙ্গুরের জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়। জেলার কৃষি আধিকারিক জয়ন্ত বারুই বলেন, ‘‘ওই জমিতে ধান বাদেও ডাল, তিল, কলাই, ভূট্টা চাষ করা হবে। ওই কাজে জলের জোগানের জন্য ইতিমধ্যেই ৫৬টি মিনি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর কাজ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার চাষিদের সব রকম কৃষি সহায়তা দেবে।’’

এ দিন সিঙ্গুরের চাষি বিজনবিহারী ঘোষের জমিতেই প্রথম বোরো ধানের চারা বসান বেচারামবাবু। তিনি বলেন, ‘‘এক সময় সিঙ্গুরের বহু ফসলি জমিতে পুলিশ নামিয়ে ধান গাছ নষ্ট করেছিল সিপিএম। সেই জমিতেই এখন ধান চাষ শুরু করে আমাদের সরকার সিঙ্গুরে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।’’

Advertisement

সিঙ্গুরের জমিতে আদৌ চাষ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে এর আগে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। এ নিয়ে দোলাচল কাটাতে রাজ্য সরকার কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদেরও সিঙ্গুরে নিয়ে যান। তাঁদের পরামর্শে সিঙ্গুরে চাষের উপযোগী করে কৃষিজমি তৈরির কাজ শুরু হয়। কৃষি দফতরের এক কর্তা জানান, সিঙ্গুরের ওই জমিতে ২০ একরে মুগ ডাল, ৪০ একরে তিল, ২০ একরে ভূট্টা, ২০ একরে কলাই এবং ২০০ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হবে। তার অনেকটাই হবে ‘শ্রী’ পদ্ধতিতে। আপাতত মোট ৩০০ একর জমিতে চাষ শুরু হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement