সিপিএম অফিস বন্ধে চিঠি তৃণমূল বিধায়কের

এলাকায় সিপিএমের লোকাল কমিটির অফিসগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। এ বার উদয়নারায়ণপুরে জোনাল কমিটি অফিস বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সিপিএম নেতৃত্বকে চিঠি দিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৫
Share:

এখনও: সেই জোনাল অফিস।

এলাকায় সিপিএমের লোকাল কমিটির অফিসগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। এ বার উদয়নারায়ণপুরে জোনাল কমিটি অফিস বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সিপিএম নেতৃত্বকে চিঠি দিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা!

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের জোনাল অফিসটি চলছে ‘উদয়নারায়ণপুর লার্জ সাইজ এগ্রিকালচার অ্যান্ড মার্কেটিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি’ নামে একটি সমবায় সমিতির অধীনে থাকা বাণিজ্যিক চত্বরে। সমিতির দখল এখন তৃণমূলের হাতে। সমিতির চেয়ারম্যান বিধায়ক সমীরবাবুই। তাই তাঁর চিঠি পাঠানোকে কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন সিপিএম নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, এর আগে জোর করে লোকাল কমিটি অফিসগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ বার হাত পড়ছে জোনাল কমিটি অফিসে।

সিপিএমের উদয়নারায়ণপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের ছ’মাস সময় দেওয়া হয়েছে ঘরগুলি ছেড়ে দেওয়ার জন্য। চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এই চার মাস ভাড়াও নেওয়া হয়নি। বুঝতে পারছি এখান থেকে আমাদের উচ্ছেদের চেষ্টা হচ্ছে।’’

Advertisement

কোনও ষড়যন্ত্রের কথা মানছেন না সমীরবাবু। তা হলে কেন তিনি ওই চিঠি পাঠালেন? সমীরবাবু বলেন, ‘‘আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ওখানে কোনও রাজনৈতিক দলকে দলীয় কার্যালয় চালাতে দেব না।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, ১৯৬৮ সাল থেকে ওই বাণিজ্যিক চত্বরে সিপিএম কার্যালয় চালানোর জন্য ছ’টি ঘর নিয়ে রয়েছে। কিন্তু এর জন্য সমবায় সমিতির সঙ্গে কোনও চুক্তি করেনি সিপিএম। ভাড়াও দেয়নি। ফলে, আইনের দিক দিয়েও তারা জবরদখলকারী হয়ে গিয়েছে। পক্ষান্তরে, স্বপনবাবুর দাবি, সমবায় সমিতির সঙ্গে তাঁদের চুক্তি রয়েছে। কিন্তু সেই চুক্তিমতো তৃণমূলের সমবায় এখন ভাড়াই নিচ্ছে না।

দীর্ঘদিন ওই সমবায় সিপিএমের দখলেই ছিল। নীচে দু’টি, দোতলায় চারটি— দোতলা বাড়ির মোট ছ’টি ঘর নিয়ে সিপিএমের জোনাল অফিসটি চলত। ২০১৩ সালে সমবায়ের দখল আসে তৃণমূলের হাতে। চেয়ারম্যান হন সমীরবাবু। তবে, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই ওই ভবনের দু’টি ঘর ভাঙচুর করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার পর থেকে দোতলায় চারটি ঘর নিয়েই চলছে কার্যলয়টি। কিন্তু সমীরবাবুর চিঠি পাওয়ার পর থেকেই আশঙ্কায় ভুগছেন সিপিএম নেতারা। কারণ, জোনাল অফিসও বন্ধ হয়ে গেলে উদয়নারায়ণপুরে দলের আর কোনও কার্যালয় থাকবে না বলে মানছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন