বেহাল কমিউনিটি হলে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা, আয় বন্ধ পুরসভারও

পলেস্তরা খসে পড়েছে, দরজা-জানলার পাল্লা নেই। অ্যাসবেস্টসের চালের প্রায় অর্ধেক ভেঙে পড়েছে। ভেঙে ঝুলছে কড়ি বরগা। না, কোনও বসতভিটে নয়, এটা উলুবেড়িয়া পুরসভার অধীন চেঙ্গাইল কমিউনিটি হলের চেহারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চেঙ্গাইল শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ০২:১৮
Share:

এমনই অবস্থা চেঙ্গাইলের কমিউনিটি হলের। — সুব্রত জানা

পলেস্তরা খসে পড়েছে, দরজা-জানলার পাল্লা নেই। অ্যাসবেস্টসের চালের প্রায় অর্ধেক ভেঙে পড়েছে। ভেঙে ঝুলছে কড়ি বরগা। না, কোনও বসতভিটে নয়, এটা উলুবেড়িয়া পুরসভার অধীন চেঙ্গাইল কমিউনিটি হলের চেহারা।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্রেফ পুর কর্তৃপক্ষের নজরদারির গাফিলতিতেই এমন হতশ্রী চেহারা হয়েছে কমিউনিটি হলটির। কার্যত য়া এখন ভুতুড়ে বাড়িতে পরিরিণ।

পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আটের দশকে বাম আমলে তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষ কমিউনিটি হলটি তৈরি করেছিল। পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চেঙ্গাইলের চণ্ডীবেড়িয়ায় প্রায় লাখ দুয়েক টাকা খরচ করে কমিউনিটি হলটি তৈরি করেছিল পুরসভা। প্রায় তিন হাজার বর্গফুটের এই কমিউনিটি হলটি একতলা। টিন ও অ্যাসবেস্টসের ছাউনি। একদিকে টিনের কিছুটা চালের কিছুটা অবশিষ্ট থাকলেও অ্যাসবেস্টসের চালের হাল খুবই খারাপ। ভেঙে পড়েছে কড়ি বরগা। দরজাগুলোর কোনটাতেই পাল্লা তো নেই-ই, ফ্রেমও ভেঙে গিয়েছে। কোনও নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় কমিউনিটি হলটি কার্যত পথ চলতি লোকজনের প্রাকৃতিক কাজ সারার জায়গায় পরিণত হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্তও এলাকার লোকেরা বিয়েবাড়ি সহ নানা অনুষ্ঠানে কমিউনিটি হলটি ব্যবহার করতে পারতেন। সুলভ মূল্যে কমিউনিটি হলটি ভাড়া দেওয়া হতো। কিন্তু এখন হলটির শোচনীয় দশার কারণে সেটি লোকেদের আর কোনও কাজে লাগে না। ফলে হল ভাড়া বাবদ পুরসভার যে আয় হতো তাও বন্ধ। পুর কর্তৃপক্ষকেই এর জন্য দায়ী করেছেন বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, পুরসভার তরফে ঠিকমতো দেখভাল করা হলে হলটির এমন চেহারা হতো না। তবে পুরসভার তরফে কমিউনিটি হলটি সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উলুবেড়িয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দিন খান বলেন, ‘‘কমিউনিটি হলটি আমূল সংস্কারের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাঁদের পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে। তা পেলেই পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’

চেঙ্গাইলের বাসিন্দা প্রণব দাস বলেন, ‘‘আমরা চাই পুর কর্তৃপক্ষ দ্রুত কমিউনিটি হলটির সংস্কার করুক। এতে এলাকার লোকজন উপকৃত হবেন।’’ আর এক বাসিন্দা আলমগীর হালদারের কথায়, ‘‘কমিউনিটি হলটিতে অনুষ্ঠান করতে না পারায় বেশি ভাড়া দিয়ে অন্যত্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হচ্ছে অনেককে। হলটি সারানো হয়ে গেলে সকলেরই সুবিধা হবে। পুরসবারও আয় হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন