বদলা নিতেই খুন দেবব্রত, বলছে পুলিশ 

 কোলাঘাটে রূপনারায়ণ সেতুর বাসস্টপের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলিতে খুন হন দেবব্রত দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে মাস ছয়েক আগে হুগলিতে এক ইমারতি ব্যবসায়ী খুনের যোগসূত্রে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৩২
Share:

কোলাঘাটে রূপনারায়ণ সেতুর বাসস্টপের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলিতে খুন হন দেবব্রত দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে মাস ছয়েক আগে হুগলিতে এক ইমারতি ব্যবসায়ী খুনের যোগসূত্রে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। প্রাথমিক ভাবে তাদের অনুমান, ওই খুনের বদলার জেরেই এই খুন।

Advertisement

মাধ্যমিক পাশ দেবব্রত জগাছা এলাকায় এমব্রয়ডারির কাজ করতেন বলে তার ভাইয়ের দাবি। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দেবব্রত চুঁচুড়া এলাকায় এক দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল। দলে সে দেবা নামে পরিচিত ছিল। মার্চ মাসে হোলির আগের দিন দেবব্রত-সহ আটজনের এক দুষ্কৃতীদল বিরোধীগোষ্ঠীর তারক বিশ্বাসকে বোমা মেরে, গুলি করে খুন করে। ওই ঘটনায় পুলিশ দেবব্রতকে গ্রেফতার করে। মাস দু’য়েক আগে জামিনে ছাড়া পেয়েছিল সে। দেবব্রতর ভাই সুব্রত বলেন, ‘‘দাদা বাড়িতে টাকা পয়সা দিত না। বরং মায়ের কাছ থেকে টাকা চাইত। চুঁচুড়ায় খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পর জেলে গিয়েছিল। জেল থেকে ফিরে বলেছিল আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে এমন ঘটনা যে ঘটবে ভাবতে পারিনি।’’

মাস দুয়েক আগে জামিনে ছাড়া পাওয়া দেবব্রতর দিকে তারক অনুগামীদের নজর ছিল বলে অনুমান পুলিশের। গত এক বছর ধরে শ্যামপুরে মামার বাড়িতেই থাকত সে। শুক্রবার দুপুরে উলুবেড়িয়ায় নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা মাসিকে ‘দেখতে যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে সে বের হয় বলে তার মামা জানিয়েছেন। তারপরে রাতে তাঁরা তার গুলি খাওয়ার খবর পান।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘নিহত দেবব্রত হুগলিতে পুরনো একটি খুনের মামলায় জেলে ছিল। কিছুদিন আগে জামিনে ছাড়া পায় বলে জানা যায়। হুগলি ও হাওড়া কমিশনারেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’’

এদিকে খুনের তদন্তে শনিবারই কোলাঘাট থানার পুলিশের একটি দল চুঁচুড়ায় যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চুঁচুড়ার যে দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে দেবব্রতর যোগ ছিল তাদেরই কাউকে দিয়ে ফোন করে তাকে ডেকেছিল আততায়ীরা। এরপর তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে কোলাঘাটের কাছে খুন করে পালিয়ে যায় তারা। দেবব্রতের নাকে, বুকে, পেটে ও ডানহাতে মোট চার জায়গায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। খুব কাছ থেকেই তাকে গুলি করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনাস্থলের কাছে উদ্ধার হওয়া দু’টি গুলির খোলের মধ্যে একটি নাইন এমএম পিস্তলের, অন্যটি থ্রি নট থ্রি রাইফেলের বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া দেবব্রতর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ খুনিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন