চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ-ভাঙচুর

শ্রীরামপুর ওয়ালশে মৃত্যু সদ্যোজাতর

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক সদ্যোজাতর মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান শিশুটির আত্মীয় এবং পড়শিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০২:২৬
Share:

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক সদ্যোজাতর মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান শিশুটির আত্মীয় এবং পড়শিরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। রোগীর পরিবারের তরফে হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট কমলকিশোর সিংহের কাছে অভিযোগ জানানো হয়।

Advertisement

যদিও সুপারিন্টেন্ডেন্ট বলেন, ‘‘চিকিৎসায় গাফিলতির কোনও প্রশ্নই নেই। প্রসূতির বাড়ির লোকজ‌নকে সব বুঝিয়ে বলা হয়েছে। আর চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুরের তালপুকুর প্রমোদপল্লির বাসিন্দা মামণি বালা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। পর দিন সকালে তাঁর আলট্রাসোনোগ্রাফি করানো হয়। মামণিদেবীর বাড়ির লোকজন জানান, ভর্তির পর থেকেই চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, তিনি সুস্থ আছেন। বুধবার বিকেলে তাঁকে ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রাত থেকে ফের ব্যথা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ মামণি দেবীকে ফের ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তিনি একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। তাঁর স্বামী সুব্রত বালার অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে তাঁকে একাধিকবার জানানো হয়, স্ত্রী-সন্তান ভাল আছে। কিন্তু সকাল ১০টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে তাঁদের বলা হয়, নাড়ি পেঁচিয়ে গিয়ে সদ্যোজাতটি মারা গিয়েছে। সুব্রতবাবু ব‌লেন, ‘‘বুধবার স্ত্রী যথেষ্ট অসুস্থ ছি‌ল। আমরা ওঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইনি। চিকিৎসকের কথাতেই নিয়ে যেতে হয়। বাচ্চার প্রকৃত অবস্থান চিকিৎসক বুঝতে পারেননি। আমাদের মিথ্যা কথা বলা হয়েছে।’’

Advertisement

মামণিদেবী বাড়ির লোকজনকে জানিয়েছেন, এ দিন সকালে তিনি ব্যথায় চেঁচানোয় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাঁকে কটু কথা বলেন। সদ্যোজাতর মৃত্যুর খবর পেয়ে সকাল ১১টা নাগাদ মামণি দেবীর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভিড় করেন। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত ওঠে। গোলমালের আশঙ্কায় শ্রীরামপুর থানা থেকে হাসপাতালে পুলিশ পৌঁছে যায়। পরে হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানান সুব্রতবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন