লিঙ্ক নেই, ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ চণ্ডীতলায়

সব কাজ ফেলে রোদ মাথায় নিয়ে সকাল থেকে ব্যাঙ্কের লাইনে কয়েকশো গ্রাহক। অথচ ব্যাঙ্ক খুলতেই জানা গেল, ‘লিঙ্ক’ নেই। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল গ্রাহকদের। চলল বিক্ষোভ। ভাঙল জান‌লার কাচ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৩২
Share:

বিক্ষোভের পরে। নিজস্ব চিত্র।

সব কাজ ফেলে রোদ মাথায় নিয়ে সকাল থেকে ব্যাঙ্কের লাইনে কয়েকশো গ্রাহক। অথচ ব্যাঙ্ক খুলতেই জানা গেল, ‘লিঙ্ক’ নেই। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল গ্রাহকদের। চলল বিক্ষোভ। ভাঙল জান‌লার কাচ। পরিস্থিতি সামলাতে ছুটে আসতে হল পুলিশকে। শনিবার হুগলির বেগমপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী ৫০০ এবং হাজার টাকার নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকেই অন্য জায়গার মতোই বেগমপুর রেল স্টেশনের কাছেই ওই ব্যাঙ্কে প্রতিদিন ভিড় হচ্ছে। এ দিনও কার্যত ভোর থেকে ব্যাঙ্কের বাইরে লাইন দিতে শুরু করেন গ্রাহকেরা। বেলা যত বাড়তে থাকে, লাইনও তত লম্বা হতে থাকে। নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ সকাল ১০টায় ব্যাঙ্ক খোলে। ব্যাঙ্ক ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গোড়াতেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কম্পিউটারে সংযোগ (লিঙ্ক) না থাকায় কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। গ্রাহকেরা অপেক্ষা করতে অনুরোধ করা হয়। ব্যাঙ্কের গেটে তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানান, কম্পিউটারে সংযোগ এল‌েই ধীরে ধীরে গ্রাহকদের ভিতরে ঢুকিয়ে পরিষেবা দেওয়া হবে। গ্রাহকেরা আশায় ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহকেরা। দুপুর ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। গোলমালের খবর পেয়ে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে কেউ ব্যাঙ্ক লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। তাতে জানলার কাচ ভেঙে যায়। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এ দিন কোনও কাজই আর হয়নি।

বেগমপুর ঘোষপাড়ার বাসিন্দা অনন্ত ঘোষের পান-বিড়ির দোকান রয়েছে। তিনি সকাল ৭টা নাগাদ দাঁত মাজতে মাজতে ব্যাঙ্কে লাইন দিতে চলে আসেন। তিনি বলেন, ‘‘গত রবিবার নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়েছিলাম। এ দিন টাকা তুলতে আসি। কিন্তু ঘণ্টা পাঁচেক দাঁড়িয়ে থেকেও কাজ হল না।’’ তাঁর ক্ষোভ, ‘‘দোকা‌নের মালপত্র কিনতে হবে। অথচ টাকা নেই। খুব সমস্যায় পড়ে গিয়েছি। এ ভাবে রোজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দেওয়া সম্ভব! এ দিন দিনটা পুরো নষ্ট হল।’’ ব্যাঙ্কের এক অফিসার বলেন, ‘‘মানুষের সমস্যা বুঝতে পারছি। কিন্তু লিঙ্ক না থাকলে আমরা কী করতে পারি! আমাদের হাত-পা বাঁধা।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন