অখাদ্য: পচে যাওয়া আলু ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সুব্রত জানা
মিড-ডে মিলের জন্য সরকার থেকে প্রতিটি স্কুলকে চাল, আলু দেওয়া হয়। আর এই আলু নিয়েই সমস্যায় পড়েছেন হাওড়ার প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ। ১ এপ্রিল থেকে ব্লক প্রশাসন থেকে স্কুলগুলিকে এক সঙ্গে ১৫ দিনের আলু দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই গরমে পনেরো দিনের জন্য পাঠানো আলু রাখা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে স্কুলগুলি। স্কুলগুলির তরফে জানা গিয়েছে, গরমে আলুতে পচন ধরেছে। দুর্গন্ধে ভরে যাচ্ছে স্কুল চত্বর।
মঙ্গলবার উলুবেড়িয়ার একটি স্কুলে দেখা গেল, পচা আলুর দুর্গন্ধ ঢাকতে দিদিমণিরা ধূপ জ্বেলে বসে আছেন। পড়াশোনা বন্ধ করে ছাত্ররা পচা আলু বাছাই করতে ব্যস্ত। তারপর সেগুলি মাথায় করে দূরে একটি খালে ফেলে দিয়ে আসছে ছাত্ররাই। স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে ১২ বস্তা আলু এসেছে। এক সঙ্গে এত আলু মেলে রাখার মতো কোনও জায়গা নেই। তাই গরমে আলুতে পচন ধরেছে। দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না।’’
গরমের জন্য আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা মিড-ডে মিল প্রকল্পের আধিকারিক শাশ্বতী দাস। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জেলায় ৯৯২ মেট্রিকটন আলু দিয়ে বলা হয়েছে ১ এপ্রিলের মধ্যে সমস্ত স্কুলে পাঠাতে হবে। আমারা তাই ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি— ছাত্র পিছু ২ কিলোগ্রাম করে আলু দিতে। কিন্তু এতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’