TmC

সম্মেলন মঞ্চে নেই যুব নেতা, চর্চা তৃণমূলে

ম্প্রতি উত্তরপাড়ায় দলের কর্মী সম্মেলনে নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দাগেন হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না।

Advertisement

দীপঙ্কর দে

ডানকুনি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ০১:০১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

উত্তরপাড়ার পরে ডানকুনি। কোন্দল কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাসকদল তৃণমূলের। আগাম জানানো হয়নি— এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার ডানকুনিতে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন এড়িয়ে গেলেন শহরের যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ডানকুনি পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। তিনি ছাড়াও পুরসভার বেশ কয়েকজন বিদায়ী কাউন্সিলর ওই সম্মেলনে হাজির ছিলেন না বলে দলীয় সূত্রে খবর। চণ্ডীতলার তৃণমূল বিধায়ক স্বাতী খোন্দকারের সঙ্গে দেবাশিসের অহি-নকুল সম্পর্ক বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। তৃণমূলের অন্দরমহলেও এ নিয়ে চর্চা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ডানকুনি খেলার মাঠ সংলগ্ন ভবনে কর্মী সম্মেলনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন স্বাতী। সেই কারণেই দেবাশিস ও তাঁর অনুগামীরা সম্মেলন এড়িয়ে গিয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের দাবি।

Advertisement

সম্মেলনে দেবাশিসের অনুপস্থিতি নিয়ে দলে যে চর্চা দলে শুরু হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্বাতী। দলে কোনও গোষ্টীকোন্দল নেই বলে দাবি করেন তিনি। সম্মেলনে দেবাশিসের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে বিধায়কের বক্তব্য, ‘‘আমি কিছু বলব না। যা বলার দলের জেলা সভাপতি বলবেন।’’ আর দেবাশিসের বক্তব্য, ‘‘কর্মী সম্মেলন সম্পর্কে আগাম কিছু আমাকে জানানো হয়নি। ১০টি চিঠি আমাকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিঠিগুলি কাদের দিতে হবে, কোথায় অনুষ্ঠান, কিছুই নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।’’ বিধায়কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি দেবাশিস। তাঁর দাবি, ‘‘বিধায়ককে ভুল বুঝিয়ে বিদায়ী কয়েক জন কাউন্সিলর লবি তৈরির চেষ্টা করছেন।’’ সম্মেলনে হাজির ছিলেন দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। দেবাশিসের অনুপস্থিতি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূলের সকলেই দলের কর্মী। ৫০০ জন কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। পাঁচ জন আসেননি। আমাদের মনে রাখা উচিত, আমরা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক।’’ সম্প্রতি উত্তরপাড়ায় দলের কর্মী সম্মেলনে নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দাগেন হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না। দলে থেকে ‘করে খাওয়া’ নেতাদের ‘ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বার করে দেওয়ার’ কথাও বলেছিলেন তিনি। তার আগে জেলা সভাপতির উদ্দেশে তীর্যক মন্তব্য করেছিলেন দলে ‘দিলীপ-বিরোধী’ বলে পরিচিত উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। হুগলি জেলা তৃণমূলে কোন্দল নিয়ে বিব্রত দলের রাজ্য নেতৃত্বও। সমস্যা মেটাতে বুধবার দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন সর্বভারতীয় যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন