পানশালায় ভাঙচুরে ধরা পড়েনি কেউ, আতঙ্কে কর্মীরা

এক দিন কেটে গেলেও হরিপালের পানশালায় ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারীরা ধরা না পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন পানশালার কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিপাল শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৪৪
Share:

এক দিন কেটে গেলেও হরিপালের পানশালায় ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারীরা ধরা না পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন পানশালার কর্মীরা।

Advertisement

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেই টিএমসিপি নেতা সুমিত সরকারকে শো-কজ করা হচ্ছে বলে সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি কৌশিক শীল জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সুমিতকে শো-কজের পাশাপাশি পুলিশকেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’ সেইসঙ্গে তিনি জানান, ওই পানশালায় মধুচক্র চালানোর যে অভিযোগি উঠেছে তাও পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিপালের গোপীনগরের কাছে হড়া এলাকায় বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোডের ধারে একটি পানশালায় এক দল যুবকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সেখানকার কর্মীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। হরিপাল বিবেকানন্দ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক, টিএমসিপি নেতা সুমিত সরকারের নেতৃত্বেই ওই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন পানশালা কর্তৃপক্ষ। পুলিশ কাউকেই ধরেনি। উল্টে হাতের সামনে পেয়েও হামলাকারীদের ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

সুমিত ভাঙচুরের কথা না মানলেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ওই পানশালায় মধুচক্র চলে। তার প্রতিবাদ করতেই তিনি এবং টিএমসিপি-র ছেলেরা সেখানে গিয়েছিলেন। সুমিত এই দাবি করলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কলেজের ছেলেরাই ভাঙচুর চালায়। তাদের মুখে ছিল শাসক দলের স্লোগান। পানশালার মালিক শিলা সাহা বলেন, ‘‘মধুচক্রের অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। এতে আমাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অথচ সব জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কাউকে ধরল না। আমাদের কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। এ ভাবে ব্যবসা চালানো যায়?’’

শাসক দলের বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, পানশালায় কুকর্ম যদি হয়ে থাকে, তা তো পুলিশের দেখার কথা। শাসক দলের ছাত্রনেতাদের আইন হাতে তুলে নিতে হবে কেন? জেলা বিজেপি-র সহ সভাপতি তথা আইনজীবী স্বপন পালের কথায়, ‘‘মধুচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা পুলিশের। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করতে পারে তারা। এ ক্ষেত্রে শাসক দলের ছেলেরা আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানে তো পুলিশ ব্যর্থ!’’ হরিপালের সিপিএম নেতা দুলাল ভৌমিক বলেন, ‘‘ওই পানশালায় খারাপ কিছু হচ্ছে বলে কখনও শুনিনি। আসলে পরিকল্পনা করেই ভাঙচুর করা হয়েছে। যা শুনলাম, তাতে পুলিশের সামনেই ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও পুলিশই হামলাকারীদের চলে যেতে দিয়েছে।’’

পুলিশের দাবি, পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছনোর আগেই হামলাকারীরা পালায়। অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে বলে তারা জানিয়েছে। টিএমসিপি নেতৃত্ব অবশ্য ওই পানশালার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন