সলতের মতো জ্বলছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। আরামবাগ মহকুমায় বামেদের হাতে থাকা শেষ পঞ্চায়েত শেওড়া তৃণমূল দখল করে নিল। গোঘাট ১ ব্লকের ওই পঞ্চায়েতে শুক্রবার বোর্ড গঠন করল তৃণমূল।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ জুন সদ্য প্রাক্তন প্রধান ফরওয়ার্ড ব্লকের রিনা করাকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। অনাস্থা সংক্রান্ত ভোটাভুটি হওয়ার আগেই অর্থাৎ ২২ জুন রিনাদেবী পদত্যাগ করেছিলেন। বিডিও অসিতবরণ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রধানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। এ দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন প্রধান হিসেবে তাপস খাঁ এবং উপপ্রধান হিসেবে শেখ সিরাজুল হক নির্বাচিত হয়েছেন।’’ গোঘাটের বিধায়ক তৃণমূলের মানস মজুমদার বলেন, “দীর্ঘ দিনের বাম শাসন থেকে মুক্তি চাইছিলেন শেওড়া পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ। তাঁদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন পৌঁছচ্ছিল না। অবশেষে তাঁদের ইচ্ছা পূরণ হল।’’
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরামবাগ মহকুমার ৬৩টি পঞ্চায়েতে মধ্যে ধুয়ে মুছে যাওয়া বামফ্রন্ট লটারির মাধ্যমে একমাত্র গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের শেওড়া পঞ্চায়েতটিতে বোর্ড গঠন করেছিল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলেরই বিক্ষুব্ধ তিন নির্দল প্রার্থী এবং তৃণমূলের প্রতীকে জেতা দু’জন প্রার্থী প্রধান নির্বাচনের ভোটাভুটিতে সেই সময় অংশগ্রহণ করেনি। ফলে লটারির মাধ্যমে সেখানে বোর্ড গঠন করেছিল ফরওয়ার্ড ব্লক।
গত ২০ জুন শেওড়া পঞ্চায়েতের মোট ১৩ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জনের সই সংবলিত অনাস্থা প্রকাশ করা চিঠি বিডিওর কাছে জমা পড়ে। কিন্তু ভোটাভুটির আগেই পদত্যাগ করেন ফরওয়ার্ড ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধান রিনা কারক। নতুন প্রধান তাপস খাঁ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতকে গতিশীল এবং স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে আমরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলাম। এ বার আমাদের কাজ করে তা প্রমাণ করতে হবে।’’
অন্য দিকে পদত্যাগী প্রধান রিনাদেবী অভিযোগ করেন, ‘‘বিরোধী দলের হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে আমাকে সর্বত্র বাধা দেওয়া হচ্ছিল। কাজ করতে না দিলে অযথা চেয়ার দখল করে থাকাটা ঠিক নয়। তাই পদত্যাগ করেছি।’’