জিটি রোড আটকে অবরোধ বৈদ্যবাটিতে

বেহাল রাস্তা ও নিকাশি নিয়ে ক্ষোভ গড়াল অবরোধে। ঘণ্টা দু’য়েক ধরে অবরোধ চলল জিটি রোডে। শুক্রবার বৈদ্যবাটি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। পুর-কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪১
Share:

প্রতিবাদ: নিজস্ব চিত্র

বেহাল রাস্তা ও নিকাশি নিয়ে ক্ষোভ গড়াল অবরোধে। ঘণ্টা দু’য়েক ধরে অবরোধ চলল জিটি রোডে। শুক্রবার বৈদ্যবাটি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। পুর-কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

Advertisement

ওয়ার্ডের পম্পানগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, জিটি রোড থেকে পম্পানগর যাওয়ার রাস্তা বেহাল। এলাকাটি নিচু। বর্ষায় জল দাঁড়িয়ে থাকে। সম্প্রতি একটি কারখানার তরফে নালা বন্ধ করে পাঁচিল তোলায় নিকাশি নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। পুর-কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ শুরু হয় অবরোধ। বড় পাইপ ফেলে রাস্তা আটকানো হয়। দাবি ওঠে, অবিলম্বে রাস্তা এবং নিকাশি সমস্যার সমাধান করতে হবে। অবরোধের জেরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যানজট হয়ে যায়। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। আইসি নন্দদুলাল ঘোষ এবং শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইন-চার্জ শুভাশিস দাস ঘটনাস্থলে আসেন।

শেষে পুরপ্রধান অরিন্দম গুঁই ঘটনাস্থলে পৌঁছন। আর তিনি আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত পুরভবনে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পুরপ্রধান।

Advertisement

সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক যুবকের অভিযোগ, ‘‘এলাকার যাচ্ছেতাই অবস্থা। বাধ্য হয়েই অবরোধ করতে হয়েছে।’’ বৈদ্যবাটির বাসিন্দা, পেশায় আইনজীবী দীপ্তব্রত বটব্যাল বলেন, ‘‘পুরসভার গাফিলতিতে ওখানকার মানুষ সত্যিই বঞ্চিত। প্রয়োজনে পুরসভার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব।’’

এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, নিকাশির জল মাঠঘাট দিয়ে গিয়ে দিল্লি রোডের ধার হয়ে খালে পড়ে। সম্প্রতি একটি কারখান‌া তাঁদের জমিতে পাঁচিল তুলতে গেলে নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পুরপ্রধানের দাবি, ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ কথা দিয়েছেন, নালা তৈরি করে দেবেন। মিপুরপ্রধানের বক্তব্য, ‘‘পুরসভায় যেমন টাকা আসে, সমান ভাবে তা বন্টন করা হয়। ওখারকার রাস্তায় পাইপলাইনের কাজ শেষ হয়েছে। এ বার নিকাশি এবং রাস্তা তৈরির কাজেও হাত দেওয়া হবে। তবে একটু সময় লাগবে।’’

চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement