প্রতিবাদ: মাঠ বাঁচাতে মিছিল। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের পুর ও নগোন্নয়ন দফতর উত্তরপাড়া ঘড়িবাড়ি মাঠ প্রমোটারের গ্রাস থেকে অধিগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল গত পুর নির্বাচনের আগে। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে রাজ্যের তৎকালীন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। সেই নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে ওই মাঠের একটি ‘অবস্থা’ সংক্রান্ত রিপোর্টও চেয়ে পাঠানো হয়। তারপরও রাজ্য সরকার ওই মাঠ অধিগ্রহণে ন্যূনতম আগ্রহ দেখায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আর এই অভিযোগ জানিয়েই বুধবার সকালে ‘ঘড়িবাড়ি মাঠ বাঁচাও’ কমিটির ডাকে একটি মিছিল উত্তরপাড়ায় শহর পরিক্রমা করে। ওই মিছিলে শহরের বহু বিশিষ্ট মানুষ ছিলেন। এ দিনের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন, এলাকার বাসিন্দা সিপিএমের প্রাক্তন সংসাদ শান্তশ্রী চট্টোপাধ্যায়। মিছিলে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা এলাকার বাসিন্দা প্রণব চক্রবর্তীকেও।
বাম আমলে উত্তরপাড়ার ঘড়িবাড়িটি প্রোমোটারের দখলে চলে যায়। সেই সময় এলাকার মানুষের আপত্তিকে আমল দেননি শাসকেরা। কিন্তু গত পুর নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দল, উত্তরপাড়ার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মিলিতভাবে ঘড়িবাড়ি মাঠ বাঁচাও কমিটি তৈরি করেন। প্রশাসনের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। তৎকালীন হুগলির জেলাশাসক মনমিত নন্দা রাজ্য সরকারকে তাঁর রিপোর্টে জানান, ওই মাঠে আবাসন তৈরী হলে শুধু দুটি পুকুর নয়, বহু গাছ কাটা পড়েবে। এলাকার প্রাকৃতিক ভারসম্য নষ্ট হবে। এরপরই সেখানে নির্মাণ সাময়িকভাবে থমকে যায়।
কিন্তু ‘ঘড়িবাড়ি মাঠ বাঁচাও’ কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, ওই মাঠটি প্রোমোটার এবং তাঁদের দলবল যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। এলাকার বাচ্চারা ওই মাঠে খেলা করতে পারছে না।
পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘পুরসভার তরফে সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’
আর ওই প্রোমোটারদের দাবি, ‘‘পুকুর সমেত জমিটির সমস্ত কাগজ আমাদের কাছে আছে। পুর কর্তৃপক্ষের বিষয়টি অজানা নয়।’’