পুলিশের সামনেই অবরোধ চলছে। ছবি: তাপস ঘোষ।
নিখোঁজ যুবককে উদ্ধার করতে হবে পুলিশকে। শুক্রবার সকালে ব্যান্ডেলের লিচুবাগান মোড়ে এই দাবিতে জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ব্যস্ত সময়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অবরোধে চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়লেন যাত্রীরা। পুলিশের আশ্বাসে শেষপর্যন্ত অবরোধ অঠে। তবে নিখোঁজের উদ্ধারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে কেন ভোগান্তিতে ফেলা হল, এ দিন সেই প্রশ্নও উঠেছে।
ব্যান্ডেলের লিচুবাগানের বাসিন্দা বছর পঁচিশের মুকেশ তাঁতি বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ হন। পরিবারের অভিযোগ, ওই দিন সন্ধ্যায় পরিচিত এক যুবক তাকে ফোনে টাকা নেওয়ার জন্য ডানলপ কারখানা চত্বরে ডাকে। সেইমতো মুকেশ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করেন। মুকেশের মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। উপায় না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তল্লাশিতে নেমে ডানলপ কারখানার পরিত্যক্ত পাঁচিলের পাশে মুকেশের পায়ের চটি উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যরা তা শনাক্ত করেন। ঘটনাস্থলে রক্ত পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের অভিযোগ, মুকেশকে খুন করে মৃতদেহ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তদন্তে আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও-সহ অন্য কর্তারা। তবে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও মুকেশের খোঁজ মেলেনি।
বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মুকেশের খোঁজ না পেয়ে তাঁকে উদ্ধারের দাবিতে শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাসিন্দারা সকাল ১০টা থেকে জিটি রোড অবরোধ করেন। রাস্তার দুধারে বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। একমাত্র অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া কোনও গাড়িই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অবরোধের ফলে যানজটে আটকে পড়ে প্রচুর গাড়ি। ভোগান্তিতে পড়েন স্কুলপড়ুয়া থেকে নিত্যযাত্রীরা। চুঁচুড়া থানার আইসি সোমনাথ দত্তের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারের আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। মুকেশের দাদা বিনোদের দাবি, ‘‘টাকা দেওয়ার অজুহাতে ফোন করে ভাইকে খুন করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় যুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজের নামে ডানলপ কারখানায় চুরির অভিযোগ আছে। তল্লাশি চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।