নজরে: গতি পরীক্ষায় ব্যস্ত এক পুলিশ কর্মী। ছবি: সুব্রত জানা।
মুর্শিদাবাদের বাস দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিল হাওড়া জেলা পুলিশ। মুম্বই রোডের বিভিন্ন সেতু, গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং স্কুল সংলগ্ন এলাকায় যান চলাচলের গতি বেঁধে দেওয়া হল। কোনও অবস্থাতেই ওই সব জায়গায় গাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের বেশি হবে না। শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পথে নামছে পুলিশ।
হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রচার শুরু করব। কম গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য চালকদের কাছে আবেদন করা হবে। চালকেরা কর্ণপাত না-করলে সাময়িক ভাবে তাঁদের লাইসেন্স বাতিল করার কথাও ভাবা হবে। দুর্ঘটনা রুখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
গত ২৯ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে একটি বাস সেতু ভেঙে ঝিলে পড়ে যায়। মৃত্যু হয় চালক-সহ ৪৪ জন যাত্রীর। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, চালক মোবাইলে কথা বলতে বলতে জোরে বাসটি চালাচ্ছিলেন। তার ফলেই দুর্ঘটনা। ওই দুর্ঘটনার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে মোবাইল কানে নিয়ে গাড়ি চালানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। একই সঙ্গে সেতুগুলিতে গাড়ির গতি কম করার কথা বলা হয়। একই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে হাওড়াতেও। মোবাইল কানে নিয়ে গাড়ি চালানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এই জেলাতেও। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে ওই কারণে বহু চালকের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রের খবর।
হাওড়া জেলায় কোলাঘাট থেকে ডানকুনি পর্যন্ত মুম্বই রোডে সারাদিন অসংখ্য গাড়ি চলে। অনেক ক্ষেত্রে বাসের রেষারেষিতে দুর্ঘটনাও ঘটে। এ বার থেকে সেতু এবং জনবহুল জায়গাগুলিতে এইসব আর বরদাস্ত করা হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে। সাধারণত মুম্বই রোডে গাড়ি চলে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার গতিতে। দামোদর নদ-সহ বিভিন্ন খালের উপরে অন্তত ১৩টি ছোটবড় সেতু আছে। পুলিশ জানিয়েছে, সেতুতে ওই গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং স্কুলগুলির সামনেও গাড়ির গতি ৪০ কিলোমিটার রাখতে হবে। প্রতিটি সেতু এবং মোড়গুলির সামনে এই মর্মে ফ্লেক্স ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। যন্ত্রের মাধ্যমে গাড়ির গতি মাপা হবে।
বেপরোয়া যান চলাচলে পুলিশ কতটা লাগাম পরাতে পারে, সেটাই এখন দেখার।