সচেতনতায়: চলছে মাইকে প্রচার। নিজস্ব চিত্র
শব্দবাজি এবং ক্ষতিকর আতসবাজি বন্ধের দাবিতে শনিবার শ্রীরামপুরে পথে নেমেছিল বিভিন্ন সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এ বার এই শহরে প্রচার শুরু করল পুলিশও।
বাজি নিয়ে সম্প্রতি কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ— কালীপুজো এবং দেওয়ালিতে দু’ঘণ্টা কেবলমাত্র কম দূষণ ছড়ায় এমন আতসবাজি পোড়ানো যাবে। ফাটানো যাবে না কোনও শব্দবাজি। নির্দেশ লঙ্ঘিত হলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি বা আইসি-র উপর এর দায় বর্তাবে। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে রাজ্য প্রশাসন ঠিক করেছে, এই দু’দিন রাত ৮টা থেকে ১০টার বাইরে বাজি পোড়ানো যাবে না। ওই নির্দেশ পুলিশ কতটা কার্যকর করতে পারবে, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে।
পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে সব রকম ব্যবস্থাই নেওয়া হবে। বিভিন্ন জায়গায় নিষিদ্ধ বাজি ধরতে অভিযান চলছে। বাজি পোড়ানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যাতে সবাই মেনে চলেন, এ ব্যাপারে রবিবার শ্রীরামপুর থানার তরফে শহরের বিভিন্ন জায়গায় টোটো নিয়ে প্রচার চালানো হয়। থানার এক আধিকারিক জানান, প্রয়োজনে পরিবেশ-সচেতন নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার চালানো হবে।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তার কথায়, ‘‘কেউ নির্দেশ অমান্য করলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কোনও আপত্তি শোনা হবে না। পুলিশ এ নিয়ে কড়া অবস্থান নেবে।’’
একটি নাগরিক সংগঠনের এক সদস্য জানান, জেলার কোথাও শব্দবাজি ফাটানো বা নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে বাজি পোড়ানোর ব্যাপারে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তাঁরা পুলিশকে জানাবেন। এ ব্যাপারে পুলিশকে সব রকম সাহায্য করতে তাঁরা রাজি।