ভিড় সামলাতে রাস্তায় বাড়তি পুলিশ পান্ডুয়ায়

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল। শনিবার সকাল থেকেই সেই ভিড় জমাট বাঁধল হুগলির বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে। জেলার মধ্যে পান্ডুয়া ব্লকের প্রধান উৎসব হল কালীপুজো। এ বার পান্ডুয়া ব্লকে কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির অধীনে ৪৫টি কালীপুজো হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৬ ০১:১৭
Share:

চণ্ডীতলার বেগমপুর ক্যুইক অ্যাসোসিয়েশনের মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল। শনিবার সকাল থেকেই সেই ভিড় জমাট বাঁধল হুগলির বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে।

Advertisement

জেলার মধ্যে পান্ডুয়া ব্লকের প্রধান উৎসব হল কালীপুজো। এ বার পান্ডুয়া ব্লকে কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির অধীনে ৪৫টি কালীপুজো হচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার পান্ডুয়া শহরের নিরাপত্তা আটোসাঁটো করতে কয়েকটি জায়গায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। পান্ডুয়া হাসপাতালের সামনে পুলিশের সহযোগিতা শিবির করা হয়েছে। রাস্তায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে পুলিশের মোবাইল ভ্যান। পুজোর দিনে পান্ডুয়ার রাস্তায় ছিলেন ৬০ জন অতিরিক্ত পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার্স ও ভিলেজ পুলিশ। পান্ডুয়া রেল স্টেশনে চত্বরে লাগানো হয়েছে অতিরিক্ত আলো।

Advertisement

পান্ডুয়া শ্যামাপুজো কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সঞ্জয় ঘোষের দাবি, ‘‘কালীপুজোয় পুজোর ক’দিন ডিজে বাজাতে নিষেধ করা হয়েছে। জোর করে চাঁদা তোলাও অনেক কম ছিল। সরকারি নিয়ম মেনে যাঁরা কালীপুজো করছেন তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে।’’

এ বার কালীপুজোর আগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম নির্দশন তৈরি করেছে পান্ডুয়া থানা প্রতিরোধ বাহিনী। এই সংগঠনের সম্পাদক মহম্মদ হাবিবুল্লাহ জানান, এ বছর তাঁদের উদ্যোগে পান্ডুয়া থানার সহযোগিতায় থানা চত্বরে স্থায়ী কালীমন্দির এবং একটি পুরনো মাজারকে সংস্কার করা হয়েছে।

পান্ডুয়া ছাড়াও হুগলির নানা প্রান্তে জমে উঠেছে শক্তির আরাধনা। উদ্বোধনের সময় থেকেই বহু মানুষ ভিড় জমান শ্রীরামপুরের বল্লভপুর সর্বজনীন কালীপুজোয়। এখানে পুজো এ বার ১৬৭ বছরে পড়ল। প্রতি সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গলবার পুজো দিতে ভিড় জমে এখানে। বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দির, শেওড়াফুলির নিস্তারিণী কালীবাড়ির মতো কয়েকটি মন্দিরেও শনিবার সকাল থেকে উৎসব শুরু হয়ে যায়।

বিভিন্ন স্থায়ী মন্দিরের সঙ্গে শক্তির আরাধনায় ব্রতী হয়েছে বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো কমিটি। কোন্নগর কানাইপুরের নেতাজি যুব সংগঠনের পুজো এ বার ২৬ বছরে পড়েছে। মণ্ডপ সজ্জায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বার্তা দেওয়া হয়েছে। হিন্দমোটর মেঘদূত ক্লাবের ৫৯ বছরের পুজোর আকর্ষণ কালী প্রতিমার ১০টি মুখ। শ্রীরামপুরের বেল্টিং বাজারের প্রমিলা সঙ্ঘ এ বারেই প্রথম মাতৃ আরাধনা শুরু করেছে। এটি মহিলা পরিচালিত পুজো। শ্রীরামপুর শহরের ‘১৯ এর পল্লি দক্ষিণ উন্নয়ন সোসাইটি’র পুজোয় মডেলের মাধ্যমে সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বেগমপুর কুইক অ্যাসোসিয়েশনের মণ্ডপ ও প্রতিমা নজরকাড়া। পান্ডুয়ার পাশাপাশি ব্যান্ডেলের কাপাসডাঙা বুনোকালীতলা মন্দির, কোড়লা কালীবাড়িতে সকাল থেকেই ভক্তের ভিড় জমতে শুরু করে। একই ছবি চুঁচুড়ার দয়াময়ী কালীবাড়িতে।

চুঁচুড়া থানার কাপাসডাঙা এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছোট বড় প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি কালীপূজো হয়। তাদের মধ্যে নজর কেড়েছে বালির মোড় এলাকার রেঞ্জার্স ক্লাবের ৩০ ফুটের কালী প্রতিমা। কাপাসডাঙা স্টুডেন্টস্ গ্রুপের মণ্ডপ এ বছর কাঠ দিয়ে তৈরি। মণ্ডপে ঢোকার মুখে চোখে পড়বে দুইপাশে দু’টি সাদা হাতি। মগরার কেওটা শরৎ সঙ্ঘের পুজোর এ বার সুবর্ণ জয়ন্তী। দেবী এখানে ধ্যানমগ্ন। (তথ্য সহায়তা: সুশান্ত সরকার, প্রকাশ পাল ও তাপস ঘোষ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন