জখম হনুমানের সাহায্যে পুলিশ

সোমবার পুলিশের এই মানবিক মুখ দেখল হাওড়া। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কোনা এক্সপ্রেসওয়ের মৌখালির কাছে একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় একটি হনুমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৮ ০২:০৩
Share:

শুশ্রুষা: পশু হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে হনুমানটির। সোমবার, হাওড়ায়। নিজস্ব চিত্র

পথ দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে পুলিশকে ‘কিরণ’ অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এ বার বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত একটি হনুমানকে ওই অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়েই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেল পুলিশ।

Advertisement

সোমবার পুলিশের এই মানবিক মুখ দেখল হাওড়া। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কোনা এক্সপ্রেসওয়ের মৌখালির কাছে একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় একটি হনুমান। ওই ঘটনার পরে চালক বাস নিয়ে পালিয়ে যান। রাস্তায় পড়ে জখম হনুমানটি ছটফট করতে করতে ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ওই দৃশ্য দেখে এলাকার লোকজনই পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন কোনা ট্র্যাফিক গার্ডের পদস্থ পুলিশকর্তারা। তাঁরা ‘কিরণ’ অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেন। এর পরে পুলিশকর্মীরাই আহত হনুমানটিকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে প্রথমে নরসিংহ দত্ত রোডের পশু চিকিৎসালয় কেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে হনুমানটিকে কলকাতার বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ফের পুলিশই ওই অ্যাম্বুল্যান্সে করে হনুমানটিকে চিকিৎসার জন্য বেলগাছিয়ায়
নিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন মৌখালি, সুন্দরপুর এলাকায় দলবল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ওই হনুমান। সকাল দশটা নাগাদ কলকাতামুখী একটি বাসের ধাক্কায় সে মারাত্মক ভাবে জখম হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত হনুমানটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় শুরু হয় নতুন গোলমাল। এলাকার বাসিন্দারা জানান, আহত হনুমানটির সঙ্গীরা যে জায়গায় দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে বসে থাকে। ফলে কার্যত রাস্তা অবরোধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে। যানজট তৈরি যায়।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা ওয়াসিম খান বলেন, ‘‘হনুমানটিকে নিয়ে যাওয়ার পরে বাকি হনুমানেরা খেপে ওঠে। যানবাহন পাশ দিয়ে গেলেই মুখ-চোখ খিঁচিয়ে উঠে তাড়া করতে শুরু করে। তখন রাস্তায় কিছু ক্ষণের জন্য যানজট হয়ে গিয়েছিল। পরে ওরা নিজেরাই সরে যায়।’’

হাওড়ার ডিসি (ট্র্যাফিক) জাফর আজমল কিদোয়াই বলেন, ‘‘যে হেতু হনুমানটি পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিল, তাই আমরা কিরণ অ্যাম্বুল্যান্সে করে ওকে চিকিৎসার জন্য বেলগাছিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি। তা ছাড়া, ওই ভাবে কোনও আহত প্রাণীকে ফেলে রাখা উচিতও না। এটা খুব ভাল কাজ হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন